Banners

গভর্ণরের গুণাবলী ও দায়িত্ব (হযরত আলী (রাঃ) নির্দেশনামা) Attributes and Responsibilities of the Governor (Hazrat Ali (R) Guidelines)

নির্দেশেনামা-৫৩
মালিক ইবনে হারিছ আশতারকে মিশরের  গভর্ণর নিয়োগ করে নিয়োগ পত্রে সাথে এ দলিল দিয়েছিলেন

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
          আল্লাহ্‌র বান্দা ও আমিরুল মোমেনিন আলী এ আদেশ মালিক ইবনে হারিছ আশতারকে দিচ্ছে যখন তাকে রাজস্ব আদায়ের জন্য, শত্রুর সাথে যুদ্ধ করার জন্য, জনগণের মঙ্গল সাধনের জন্য ও নগরসমূহকে সম্পদশালী করার জন্য মিশরের গভর্ণর নিয়োগ করা হলো।
গভর্ণরের গুণাবলী ও দায়িত্ব, নাহ্‌জ আল-বালাগা, মালিক ইবনে হারিছ আশতার,

          তাকে আদেশ করা হচ্ছে আল্লাহ্‌কে ভয় করার জন্য এবং তাঁর অনুগত হবার জন্য। আল্লাহ্ কুরআনে যা আদেশ করেছেন তা অনুসরণ করার জন্য তাকে আদেশ করা হচ্ছে। আল্লাহ্‌র আদেশ অনুসরণ না করে কেউ দ্বীনার্জন করতে পারে ন। শয়তান ছাড়া কেউ আল্লাহ্‌র বিরোধিতা ও অবহেলা করে না। তাকে আরো আধেম করা হচে্‌ছ যেন সে তার হৃদয়-মন, হাত আর কষ্ঠ দিয়ে আল্লাহ্‌কে সাহায্য করে, কারণ মহিমান্বিত আল্লাহ্ তাকের সাহায্য করার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। যে আল্লাহ্‌কে সাহায্য করে এবং যে তাঁকে সমর্থন করে তাকেই তিনি রক্ষা করেন।

          তাকে আরো আদেশ  করা হচ্ছে যেন সে তার হৃদয়কে কামনা-বাসনা হতে দূরে সরিয়ে রাখে এবং কামনা-বাসনা বৃদি্‌ধর সাথে সাথে হৃদয়কে নিয়ন্ত্রিত করে। কারণ আল্লাহ্‌র রহমত না হলে হৃদয় মানুষকে পাপের পথে নিয়ে যায়।


গভর্ণরের গুণাবলী ও দায়িত্ব (কিছু অংশ বিশেষ)
        হে মালিক, মনে রেখো, আমি তোমাকে এমন এক এলাকায় পাঠাচ্ছি যেখানে  তোমার পূর্বেও  সরকার ছিল- তাদের কেউ কেউ ছিল ন্যয়পরায়ণ আবার কেউ কেউ ছিল অত্যাচারী। জনগণ এখন তোমার কর্মকান্ড নিরিখ করবে যেখাবে তুমি তোমার পূর্ববর্তী শাসকগণকে নিরিখ করতে এবং তারা তোমার সমালোচনা করবে যেভাবে তুমি পূর্ববর্তী শাসকগণের সমালোচনা করেছিলে। নিশ্চয়ই, দ্বীনদারগণের  পরিচয় পাওয়া যায় তাদের খ্যাতির মাধ্যমে যা আল্লাহ্ তাঁর বান্দার জিহ্বা দ্বারা ছড়িয়ে দেন। সুতরাং তোমার বাল কর্মকান্ড তোমার সর্বত্তোম সঞ্চয়। সেহেতু তোমার কামনা-বাসনা ও হৃদয়কে নিয়ন্ত্রণ করে প্রদমিত রেখো যাতে তোমার জন্য যা জায়েয নয় তা করা হতে বিরত   থাকতে পার। কারণ হৃদয়কে নিয়ন্ত্রণ করাই হলো ইচ্ছা-অনিচ্ছার অর্ধেক প্রদমিত করা।

          প্রজাদের প্রতি দয়া,  মমতা ও সহৃদয়তা প্রদর্শন করা অভ্যাস করো। মনে রেখো, প্রজারা দু’প্রকারের- হয় তারা তোমার দ্বীনি ভাই না হয় তারা তোমার মতই সৃষ্ট বান্দা। সুতরাং তাদের মাথার ওপর লোভাতুর পশুর মত দাঁড়িয়ো না। পশু মনে করে গোগ্রাসে গেলাটাই যথেষ্ট। প্রজাগণের পদঙ্খলন হতে পারে – তারা ভুল করতে পারে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে অথবা অবহেলা বশে ভুল করতে পারে। সুতরাং তাদের প্রতি ক্ষমা ও অনুকম্পা প্রদর্শনে কার্পণ্য করো না। কারণ তুমিও তো চাও আল্লাহ্ যেন তাঁর সর্বোচ্চ ক্ষমা তোমার প্রতি প্রদর্শন করেন। মনে রেখো, তুমি তাদের  ওপর আর তোমার ওপর হলেন দায়িত্বশীল ইমাম (আলী) এবং আল্লাহ্ হলেন তার ওপর যিনি তোমাকে নিয়োগদান করেছেন। আল্লাহ্ চান যে, তুমি তাদের কর্মকান্ডের ব্যবস্থাপনা কর এবং এ দায়িত্বের মাঝেই তিনি তোমার বিচার করবেন।

          কখনো আল্লাহ্‌র সাথে যুদ্ধ করতে চেয়ো না,  কারণ তাঁর ক্ষমতার কাছে তোমার ক্ষমতাই নেই এবং তাঁর ক্ষমা ও রহমত ছাড়া তুমি কিছুই করতে পারবে না। কখনো ক্ষমা করতে অনুতাপ করো না এবং শাস্তি প্রদানে দয়া দেখায়ো না। ক্রোধের সময় কখনো তাড়াহুড়া করে কিছু করো না- ক্রোধ সম্বরণ করতে চেষ্টা করো। কখনো এ কথা বলো না, “আমাকে কর্তৃত্ব দেয়া হয়েছে- আমি যা আদেশ করি তাই মানতে হবে।” কারণ এটা হৃদয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের উদ্রেক করে, দ্বীনকে দুর্বল  করে দেয় এবং ধ্বংস নিকটবর্তী করে দেয়। যে কর্তৃত্ব তোমাকে  দেয়া হয়েছে তাতে যদি তোমার মনে কোন প্রগলভতা বা অহমবোধ আসে তবে আল্লাহ্‌র বিশাল রাজত্বের প্রতি এবং তাঁর মহাশক্তির প্রতি লক্ষ্য করে দেখো। তাতে তোমার নিজের ওপরই তোমার কর্তৃত্ব আছে বলে মনে হবে না। এটা তোমার মনের  অহমকে কুঁকড়ে দেবে, তোমার উগ্র মেজাজের চিকিৎসা করে দেবে এবং যে প্রজ্ঞা তোমা হতে সরে গিয়েছিল তা ফিরিয়ে আনবে। সাবধান, আল্লাহ্‌র মহত্বের সঙ্গে কখনো নিজেকে তুলনা করো না অথবা তাঁর শক্তির মত নিজকে শক্তিধর মনে করো না। কারণ প্রত্যেক ক্ষমার দাবীদারকে  তিনি অবদমিত করেছেন এবং প্রত্যেক অহঙ্কারীকে তিনি অবমানিত করেছেন।

          আল্লাহর জন্য ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করো এবং জনগণের প্রতি ন্যায় বিচার করো। তোমার নিজের প্রতি, আত্মীয়-স্বজনের প্রতি এবং প্রজাদের মধ্যে যাদেরকে তুমি পছন্দ কর তাদের প্রতি কোন স্বজন-প্রীতি করো না। যদি তুমি স্বজন-প্রীতি কর তবে তুমি অত্যচারীদের মধ্যে পরিগণিত হবে। আর যখন কেউ আল্লাহ্‌র বান্দাদের উপর অত্যাচার ও নিপীড়ন করে তখন বান্দার পরিবর্তে আল্লাহ্ নিজেই জালেমের প্রতিপক্ষ হন। আর যখন আল্লাহ্ কারো প্রতিপক্ষ হন, তিনি তাকে অবজ্ঞাভারে পদদলিত করেন এবং যে পর্যন্ত সে অনুতপ্ত হয়ে তওবা না করে সে পর্যন্ত সে আল্লাহ্‌র সাথে যুদ্ধে লিপ্ত থাকে। আল্লাহ্‌র রহমত হতে বঞ্চিত হওয়া বা তাঁর মহামাস্তি অত্যাচার ও নিপীড়ন ছাড়া অন্য কিছুতে এতবেশী ত্বরান্বিত হয় না। কারণ আল্লাহ্ মজলুমের আর্তনাদ শোনেন এবং জালিমদের প্রতি রোষাবিষ্ট দৃষ্টিতে তাকান।

নোটঃ ৩৮ হিজরী সনের মারিক  ইবনে হারিছ আশতারকে মিশরের গভর্ণর নিয়ো করা হয়েছিল তখন আমিরুর মোমেনিন তাকে এটা লিখেছিলেন। আমিরুল মোমেনিনের প্রধান সহচরদের মধ্যে মালিক আশতার ছিল অন্যতম। তিনি আমিুল মোমেনিনের প্রতি পরিপূর্ণ  আস্থা ও বিশ্বাস এবং ধৈর্য্ ও দৃঢ়তা দেখিয়েছিলেন। আমিরুল মোমেনিনের আচরণ ও প্রকৃতি অনুসরণ করে তিনি তাঁর নৈকট্য ও সংশ্রব লাভ করেছিলেন এবং একজন পরিপূর্ণ মানবে পরিণত হয়েছিলেন। আমিরুল মোমেনিনের এ কথা হতে তার অবস্থান সহজে নির্ণয় করা যায়- “আমি আল্লাহ্‌র রাসুলের কাছে যেরূপ ছিলাম মালিক আমার কাছে তদ্রূপ” (হাদীদ১৫২, ১৫শ খণ্ড, পৃঃ ৯৮; খায়াত৫৭, ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃঃ ১৩১)। মালিকও স্বার্থহীনভাবে আমিরুল মোমেনিনের পক্ষে সকল যুদ্ধ অংশ গ্রহণ করে আমিরুল মোমেনিনের বাহু হিসাবে নিজবে প্রমাণ করেছেন। তিনি এরূপ সাহস ও বীরত্ব দেখিয়েছিলেন যে, সারা আরবে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। এ বীরত্বে সাথে তিনি ছিলেন অসীম ধৈর্য্ ও ক্ষমার মূর্তপ্রতীক। ওয়াররাম ইবনে আবি ফিরাছ আন-নাখাই লিখেছেন যে, একদিন মালিক কুফার বাজার দিয়ে যাচ্ছিলেন। তার গায়ের কাপড় ও মাথার পাগড়ী ছিল চটের। একজন দোকানদার তাকে দেখে তার গায়ে পঁচা পাতা নিক্ষেপ করেছিল। এ নোংরা ব্যবহারে তিনি কিছু মনে করেননি। এমনকি লোকটির দিকে ফিরেও  না তাকিয়ে তাড়াতাড়ি চলে গেলেন। এক ব্যক্তি দোকানদারকে বললো, “কাকে তুমি অপমান করলে তা কি জান?” দোকানদার বললো, “না, আমি চিনি না।” লোকটি বললো, ‘ইনিই আমিরুল মোমেনিনের  সহচর- মালিক আশতার।” এ কথা শুনা মাত্রই লোকটি পিছু পিছু দৌড়াতে লাগলো। ততক্ষণে মালিক মসজিদে প্রবেশ করে সালাত আদায় করতে  শুরু করেছেন। সালাত শেষে লোকটি মালিকের পায়ে পড়ে কাঁদতে কাঁদেত তার অপরাধের জন্য ক্ষমা চাইতে লাগলো। মালিক লোকটিকে তুলে ধরে বললেন, আল্লাহ্‌র কসম, তোমার জন্য ক্ষমা চাইতেই আমি মসজিদে প্রবেশ করেছি। আমি তোমাকে সেই মুহুর্তেই ক্ষমা করে দিয়েছি এবং আশা করি আল্লাহ্‌ও তোমাকেক ক্ষমা করবেন (ফিরাস৮৮, ১ম খন্ড, পৃঃ ২; মজলিসী১০৩, ৪২তম খন্ড, পৃঃ ১৫৭) আরবের বিখ্যাত একজন বীর যার নামে শত্রুর বুক কেঁপে উঠতো তার আচরণ ও ধৈর্য্য এমন ছিল। এ বিষয়ে আমিরুল মোমেনিন বলেছিলেন, ‘সে ব্যক্তিই সব চাইতে বীর যে নিজের কামনা-বাসনা, ক্রোধ ও অহমবোধকে পরাভূত করতে পেরেছে।

          এসব চরিত্র বৈশিষ্ট্য এবং গুনাবলী ছাড়াও প্রশাসন এবং সংগঠনের তার যথার্থ বুৎপত্তি ছিল। যখন উসমানী পার্টি (উসমানিয়া) মিশরের ফেতনা-ফাসাদ ও বিদ্রোহ করে আইন শৃংখলা বিনষ্ট করে এবং দেশটাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছিলো  আমিরুল মোমেনিন তখন মুহাম্মদ  ইবনে আবি বকরকে  শাসনকর্তার পদ থেকে সরিয়ে মারিক আশতারকে তার স্থলে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন। এ সময় মালিক নাসিবিনের গভর্ণর ছিলেন। যাহোক, আমিরুল মোমেনিন মালিককে নির্দেশ দিলেন তিনি যেন কাউকে তার স্থলে ডেপুটি হিসাবে পছনন্দ করে আমিরুল মোমেনির কাছে চলে আসেন। আদেশ পাওয়া মাত্র মালিক শাহবিব ইবনে আমির আজদীকে নাসিবিনের দায়িত্ব দিয়ে আমিরুল মোমেনিনের কাছে চলে এসেছেন। আমিরুল মোমেনিন তাকে নিয়োগ পত্র প্রদান করে মিশরের দিকে যাত্রা করতে আদেশ দিলেন এবং মিশরবাসীদের উদ্দেশ্যেও একিট নির্দেশ লিখে দিলেন যেন তারা মালিককে মান্য করে চলে। এ দিকে মুয়াবিয়া তার গুপ্তচরদের মাধ্যমে এ খবর পেয়ে হতবুদ্ধি হয়ে গেল, কারণ সে আমর ইবনে আসকে মিশরের গভর্ণর করার আশা দিয়েছিলো এবং সেজন্য ইবনে আস তার সেবাদাসে পরিণত হয়েছিল। মুয়াবিয়া ভেবেছিল মুহাম্মদ ইবনে আবি বকরকে পরাভুত করে মিশর দখল করা তার জন্য সহজ হবে। কিন্তু মালিকের নিয়োগের কথা শুনে তার অন্তরাত্মা শুকিয়ে গেল। কারণ মালিককে পরাস্থ করা মুয়াবিয়ার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠবে না। ফলে মিশর জয় করা দূরাশায় পর্যবসিত হবে। মুয়াবিয়া তার চিরচরিত গুপ্ত হত্যার আশ্রয় গ্রহণ করতে মনস্থ করলো এবং মিশরের ক্ষমতা গ্রহণের পূর্বেই মালিককে হত্যা করার  সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলো। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ণের জন্য আরিশ (কুলজুম)  শহরের এক জমিদারের দ্বারস্থ হয়ে সমস্ত খাজনা মওকুফ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে বললো মালিক আরিশ দয়ে যাবার কালে যে যেন মালিককে হত্যা করে। ফলে মালিক যখন সৈন্য-সামন্ত নিয়ে আরিশ পৌছলো তখন আরিশের প্রধান তাকে অভ্যর্থনা জানিয়ে তার মেহমান হবার অনুরোধ করলো। মালিক তার আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন। খাবার পর মেজবান তাকে মধু মিশ্রিত শরবত পান করতে দিল যাতে বিষ মিশ্রিত ছিল। এ শরবত খাবার পরই বিষক্রিয়া দেখা দিল এবং অল্পক্ষণের মধ্যেই এ মহাবীর  মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন।
          যখন মুয়াবিয়া জানতে পারলো যে তার চাতুর্য্যপূর্ণ  কৌশল কৃতকার্য হয়েছে তখন সে আনন্দে ফেটে পড়লো এবং উল্লাসে বলতে লাগলো, “ওহে  মধুও আল্লাহ্‌র সৈনিক।” তৎপর সে বক্তৃতায় বললো, “আলী ইবনে আবি তাবের দুই দক্ষিণ হস্তস্বরূপ দু’টি লোক ছিল। এর একটি হলো আম্মার ইবনে ইয়াসির যাকে সিফফিনে হত্যা করা হয়েছে এবং অপরটি হলো মালিক আশতার  যাকে এখন হত্যা করা হলো।”
          কিন্তু মালিক নিহত হবার সংবাদ পেয়ে আমিরুল মোমেনিন নিদারুণভাবে মর্মাহত  হয়েছেন এবং দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে তিনি বললেন, “মালিক! কে মালিক? যদি মালিক পাথর হতো তবে সে সুকঠিন পাথর; যদি সে পাহাড় হতো তবে সে সাদৃশ্যবিহীন মহৎ পাহাড়। মনে হয় তার মৃত্যূ আমাকে জীবনহীন করে দিয়েছে। আমি আল্লাহ্‌র নামে শপথ করে বলছি, তার মৃত্যু সিরিয়ানদের জন্য আনন্দের হলেও ইরাকীদের জন্য অপমান জনক। এ রকম আরেকটি মালিক প্রসব করতে মহিলারা বন্ধা হয়ে গেছে” (তাবারী৭৫, ১ম খন্ড, পৃঃ ৩৩৯২-৯৫; আছীর, ৩য় খণ্ড, পৃঃ ৩৫২-৫৩; ইয়াকুবী২৮, ২য় খণ্ড, পৃঃ ১৯৪; বার৯৭, ৩য় খণ্ড, পৃঃ ১৩৬৬; হাদীদ ১৫২, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃঃ ৭৪-৭৭; কাছীর৩৯,  ৭ম খণ্ড, পৃঃ ৩১৩-৩১৪; ফিদা৮৯, ১ম খণ্ড, পৃঃ ১৭৯)।


নাহ্ আল-বালাগা
আমিরুল মোমেনিন আলী ইবনে আবি তালিব
সংঙ্কলনঃ আশ-শরীফ আর-রাজী
ইংরেজি অনুবাদঃ সৈয়দ আলী রেজা

বাংলা অনুবাদঃ জেহাদুল ইসলাম
পৃ-৩৫৫ থেকে শুরু

No comments

Powered by Blogger.