Banners

ফাতেহা ই ইয়াজদাহম

১১ই শরীফ, ফাতিহা ই ইয়াজদাহম, বড়পীর, বড়পীরের ওফাত দিবস

আউলিয়াদের শিরোমণি আকাঁ ও মওলা হুযুর সৈয়্যেদেনা ওয়া মওলানা ওয়া শাইয়্যেখেনা আল গাউসুল আযম পীরানে পীর মীরানে মীর আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আব্দুল কাদির জিলানী আলা জাদ্দিহি নাবীয়ানা আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম ৯১ বছর বয়সে ১১৬৬ খ্রিস্টাব্দে, ৫৬১ হিজরির ১১ ই রবিউস সানী ( ১০ ই রবিউস সানী দিবাগত রাতে) রাতে বাদ এশা সোমবার পৃথিবী হতে জাহিরি ভাবে বিদায় নেন বা ওফাত বরণ করেন বা বেসালে হক (আল্লাহর সাথে মিলন) হয় ।


 ইরাকের বাগদাদ শহরের ''বাবুশ শায়েখ'' এলাকায় তার মাজার শরীফ অবস্থিত । গাউসে পাকের ওফাত দিবসকে কেন্দ্র করেই ১১ ই শরীফের নামকরণ হয়েছে । পবিত্র এই ১১ ই রবিউস সানীকে সমগ্র বিশ্বে ''ফাতিহা-ই-ইয়াজদহম শরীফ'' বা ১১ ই শরীফের ফাতিহা বলে । 



ইয়াজদহম ফারসী শব্দ। ইয়াজদহম অর্থ এগার । সুতরাং গাউসুল আযম দস্তগীরের আল্লাহর সাথে মহামিলন দিবসকে ১১ ই শরীফ/ গিয়ারভী শরীফ বলে । আর এই ১১ ই শরীফ/ গিয়ারভী শরীফ ই হলো গাউসে পাকের উরস মোবারক । অন্য অন্য আউলিয়া-
কেরামের উরস শরীফ অনুষ্টিত হয় সাধারণত তাদের ইন্তেকাল দিবসে কিন্তু হুযুর গাউসেপাকের উরস শরীফ অনুষ্টিত হয় প্রতি চন্দ্র
মাসের ১১ তারিখ রাতে/দিনে । 



গাউসে পাকের বিশেষ মর্যাদার কারণে আমাদের পারের কান্ডারী আকা ও মওলা আহমদ মুস্তফা মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর নির্দেশে এই ১১ ই শরীফ/ গিয়ারভী শরীফ পালিত হয় সারা বিশ্বের সমস্ত ''সিলসিলায়ে কাদেরীয়া''র বিভিন্ন দরবার শরীফে । শুধু কাদেরিয়া তরিকার বিভিন্ন সিলসিলা বা শাখা-প্রশাখায় ই ১১ই শরীফ পালিত হয় না অন্যান্য প্রধান তরিকা যেমন - চিশতীয়া, নকশাবন্দীয়া(মুজাদ্দেদীয়া), সহওয়ার্দীয়া ইত্যাদি তরিকায়ও পালিত হয়। বিশেষ করে কাদেরীয়া গগনের সূর্য, বড়পীর গাউসে পাকের খাস বংশধর তথা আহলে বাইতের সদস্য (প্রিয় নবীর বংশধর) , হযরত সৈয়্যেদেনা ওয়া মাওলানা সৈয়দ শাহ মুরশিদ আলী আল কাদেরী আল জিলানী আল মেদিনীপুরী আলা জাদ্দিহি নাবীয়ানা আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম ওরফে ''মওলা পাক '' এর ''আঞ্জুমানে-ই-কাদেরীয়া'' সিলসিলা অন্তর্ভুক্ত ভারত, বাংলাদেশ,বার্মা, পাকিস্তান এর সমস্ত খানকা শরীফ মসজিদ গুলোতে প্রতি চন্দ্র মাসের ১০ তারিখ দিবাগত রাতে(১১ তারিখ) ১১ ই শরীফ/ গিয়ারভী শরীফ পালিত হয় অত্যন্ত আদব ও ভক্তি শ্রদ্ধার সহিত ।



আমি অধম নিজে ''আঞ্জুমানে-ই-কাদেরীয়া'' সিলসিলা অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশের ঢাকা, রাজবাড়ী,পাবনা,চট্রগ্রাম জেলার খানকা শরীফ মসজিদ গুলোতে ১১ ই শরীফ মাহফিলে বিভিন্ন সময়ে হাজির হয়ে দেখেছি হাজার হাজার আশেকানে গাউসে পাক এ মাহফিলে যোগদান করে।



ফারসী ভাষায় ১১ ই শরীফকে ''ইয়াজদাহম শরীফ'' এবং উর্দু ভাষায় '' গিয়ারভী শরীফ'' বলে।



ইয়া গাউসে পাক ! রওশন জমীর। ইয়া কুতুবুল কাওনায়েন। ইয়া গাউসে আযম আল-গায়াস । ইয়া গাউসুল ওরা । ইয়া গাউসুল কুল। আপনার গাউসিয়াত ও বেলায়েতের ফয়ূজাত আমাদের নসীব করুন । আমাদেরকে গোলাম হিসাবে কবুল করুন। আমীন।
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মোহাম্মদ ওয়ালা আলে মোহাম্মদ
লেখক- মোহাম্মদ তফিজ উদ্দিন কাদেরী

3 comments:

  1. ভাই বড় পীর আবদুল কাদির জীলানী রহঃ এর অনেক কারামত পাক রয়েছে? সেগুলো লিখবেন প্লিজ

    ReplyDelete
  2. জি ভাই আমাদের সাথে থাকুন অবশ্যই লিখবো

    ReplyDelete
  3. ভাইয়া বড়পীরের জীবনী ও কামামত সম্পকে আমাদেরকে নিয়মিত পোষ্ট কবে করবেন

    ReplyDelete

Powered by Blogger.