বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২
২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য এভাবেই সাজানো হচ্ছে কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামকে !
কাতার আগামী বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা আয়োজনের
দায়িত্ব পেয়েছে । কাতার সেই স্টেডিয়ামের একটি সুন্দর নকশা প্রকাশ করেছে যেখানে
চার বছর পরে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা হবে। ৮০ হাজার আসনের লুসাইল স্টেডিয়ামে ২০২২
সালের ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটিও খেলা হবে। ২০২২ সালের এই বিশ্বকাপ হবে
মধ্যপ্রাচ্যে আয়োজিত প্রথম বিশ্বকাপ।
দেশের শাসক শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি এবং জাতিসংঘের সেক্রেটারি
জেনারেল অ্যান্টোনিও গুয়েটার্স এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তির উপস্থিতিতে আয়োজিত
এক অনুষ্ঠানে এই নকশা প্রকাশ্যে আনা হয়।
দেশের বিশ্বকাপ আযোজক সংস্থা, ডেলিভারি ও
লেগ্যাসি শীর্ষ কমিটির প্রধান হাসান আল-থাওয়াডি বলেন, এ এক গুরুত্বপূর্ণ
মাইলস্টোনের উন্মোচন। "আমাদের জন্য প্রতিটি মাইলস্টোনই সবসময় গুরুত্ব দিয়ে থাক।
তারই প্রেক্ষিতে স্টেডিয়ামের নকশা এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটিই হবে
আমাদের শেষ স্টেডিয়াম।
বিশ্বকাপের জন্য কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামটি
অষ্টম এবং চূড়ান্ত স্থান হিসেবে রাখা হয়েছে।
আরব স্থাপত্য কৌশল থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই
ব্রিটিশ স্থপতি ফস্টার অ্যান্ড পার্টনার্স এই স্টেডিয়ামটির নকশা করেছেন বলে
বিশ্বকাপ কমিটি জানানিয়েছে।
এই স্টেডিয়ামটি
কাতারের প্রতিষ্ঠাতা, শেখ জসিম বিন মোহাম্মদ বিন থানি আল-থানির পূবের বাড়ির পাশেই
অবস্থিত।
কাতারের রাজধানী
দোহা থেকে ১৫ কিলোমিটার (নয় মাইল) উত্তরে অবস্থিত এবং এটি নির্মাণে ৪৫ কোটি ডলার
(৪০ বিলিয়ন ইউরো) খরচও হয়েছে এই স্টেডিয়ামটিতে । এটাই কাতারের সবচেয়ে বড় পরিকাঠামো
প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি, যা বিশ্বকাপের জন্য সুন্দরভাবে সাজানো হচ্ছে।
যৌথ প্রকল্পের
নির্মাণ কাজটি কাতা ও চীনের দায়িত্বে রয়েছে যা আগামী ২০২০ সালে শেষ হবে।
বিশ্ব ফুটবলের
গভর্নিং সংস্থা ফিফা যদিও এখনও বিবেচনা করছে যে, টুর্নামেন্টটি ৩২ টি দল থেকে ৪৮
টি দলে প্রসারিত করা যাবে কিনা। যদি এই বিস্তার ঘটে তাহলে সম্ভবত এই অঞ্চলের
অন্যান্য দেশগুলির মধ্যে টুর্নামেন্টের খেলাগুলি ভাগ করে নেওয়া হবে।
"শেষ
পর্যন্ত সম্প্রসারণের সিদ্ধান্তটি ফিফা এবং কাতার কর্তৃক গৃহীত হবে" থাওয়াডি
বলেন।
বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা বিশ্বকাপ
বাছাইয়ের?
২০২২
কাতার বিশ্বকাপের এশিয়া অঞ্চলের বাছাইয়ের মূল পর্বে প্রথম রাউন্ড থেকে উতরে জায়গা
করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়ার র্যাংকিং এ ৩৫-৪৬ পর্যন্ত থাকা দেশগুলোকে নিয়ে
অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রথম পর্ব। এই ০৬ ম্যাচের জয়ী দলগুলো প্রথম ৩৪ দলের সঙ্গে মিলে ০৮
গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অংশ নেবে দ্বিতীয় পর্বের বাছাইয়ে। প্রথম থেকে দ্বিতীয় পর্বের
উত্তোরণে বাংলাদেশের সঙ্গী হয়েছে ব্রুনাই,মালয়েশিয়া, গুয়াম ও কম্বোডিয়া। ফিফার র্যাংকিংয়ে
এই ০৬ দলের মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে পেছনে আছে কেবল গুয়াম। ভূটানকে উড়িয়ে দিয়ে
দ্বিতীয় পর্বে জায়গা পেয়েছে তারা।
প্রথম
লেগে জিতেও নিরাপত্তার কারণে শ্রীলঙ্কায় খেলতে না যাওয়া ম্যাকাওয়ের ভাগ্য আছে
ঝুলে। তবে ইতিহাস বলছে খেলতে অস্বীকৃতি জানানোয় শ্রীলঙ্কারই উঠে যাওয়ার কথা
দ্বিতীয় পর্বে। তবে সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।
দ্বিতীয় রাউন্ডে কারা?
এশিয়া
থেকে নিয়মিত বিশ্বকাপ খেলা সৌদি আরব, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া- সকৃলেই
আছে। ৪০ দেশের এই ড্র অনুষ্ঠিত হবে জুলাইয়ের ১৭ তারিখ, কাতারে। প্রতিটি গ্রুপের
দলগুলো একে অন্যের বিপক্ষে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে লেগের ভিত্তিতে খেলবে।
তবে
তারাও অংশ নিচ্ছে বাছাইপর্বে। বর্তমান র্যাংকিং অনুযায়ী দক্ষিণ কোরিয়া,
অস্ট্রেলিয়া, কাতার, আরব আমিরাত, ইরান, জাপান,
সৌদি আরব ও চীন- এই আট দেশের যে কোনো একটি নিশ্চিতভাবে খেলবে বাংলাদেশের
গ্রুপে। বাকি চারটি দেশের নাম জানা যাবে লটারীর পরে।
স্বাগতিক
দেশ হিসেবে কাতার বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত। এশিয়া থেকে সরাসরি বিশ্বকাপে অংশ নিবে আর
০৪ টি দেশ। এছাড়া দ্বিতীয় রাউন্ডের ০৮ গ্রুপের শীষ ০৮ দল ও শীষ ০৪ রানার আপকে নিয়ে
হবে বিশ্বকাপের তৃতীয় রাউন্ডের বাছাই পব। এই ১২ দলই সরাসরি জায়গা করে নেবে পরের
এশিয়া কাপে। আসলে এখানেই বাংলাদেশের থাকার সম্ভবনা প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছি। তবে
বাংলাদেশ একে বারেও হাল ছেড়ে দিবে না।
Good news
ReplyDelete