Banners

সহীহ আত্-তিরমিযী হাদিসের আলোকে আহ্‌লে বাইত-এর মর্যাদা। The status of Ahl al-Bayt in the light of Sahih At-Tirmidhi Hadith.

অনুচ্ছেদঃ ৩২।। আহ্‌লে বাইত-এর মর্যাদা

৩৭৮৬। জাবির ইবনু ‘আবদিল্লহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে আমি তাঁর বিদায় হাজ্জে আরাফার দিন তাঁর কাসওয়া নামক উষ্ট্রীতে আরোহিত অবস্থায় বক্তৃতা দিতে দেখেছি এবং তাঁকে বলতে শুনেছিঃ হে লোক সকল! নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে আমি এমন জিনিস রেখে গেলাম, তোমারা তা ধারণ বা অনুসরণ করলে কখনও পথভ্রষ্ট হবে নাঃ আল্লাহ তা‘আলার কিতাব (আল-কুরআন) এবং আমার ইতরাত অর্থাৎ আমার আহ্‌লে বাইত।
সহীহঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (৬১৪৩)।
আহলে বাইয়াত এর মর্যাদা, পাকপাঞ্জাতন, সহীহ আত্-তিরমিযী,

৩৭৮৭। নাবী (সাঃ)-এর পোষ্য ‘উমার ইবনু আবী সালামাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ)-এর ঘরে এ আয়াত নাবী (সাঃ)-এর উপর অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ): “হে নাবীর পরিবার! আল্লাহ তা‘আলা তো চান তোমাদের হতে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণভাবে পবিত্র করতে” (সূরা আহ্‌যাব-৩৩)। সে সময় নাবী ফাতিমাহ্, হাসান ও হুসাইন (রাযিঃ)-কে ডাকেন এবং তাদেরকে একখানা চাদরে আবৃত করেন। তাঁর পেছনে ‘আলী (রাযিঃ) ছিলেন। তিনি তাঁকেও চাদরে ঢেকে নেন, তারপর বললেনঃ ‘হে আল্লাহ! এরা আমার আহলে বাইত। অতএব তুমি তাদের হতে অপবিত্রতা অপসারণ করে দাও এবং তাদেরকে উত্তমভাবে পবিত্র কর”। সে সময় উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমিও তাদের অন্তর্ভুক্ত কি? তিনি বললেনঃ তুমি স্বস্থানে আছে এবং তুমি কল্যাণের মাঝেই আছ।

৩৭৮৮। যাইদ ইবনু আরক্বাম (রাযি) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে আমি এমন জিনিস রেখে গেলাম যা তোমরা শক্তরূপে ধারণ (অনুসরণ) করলে আমার পরে কখনো পথভ্রষ্ট হবে না। তার একটি  অন্যটির তুলনায় বেশি মর্যাদাপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণঃ আল্লাহ তা‘আলার কিতাব যা আকাশ হতে মাটি পর্যন্ত দীর্ঘ এক রশি এবং আমার পরিবার অর্থাৎ আহ্‌লে বাইত। এ দু’টি কখনও আলাদা হবে না কাওসার নামক ঝর্ণায় আমার সঙ্গে একত্রিক না হওয়া পর্যন্ত। অতএব তোমরা লক্ষ্য কর আমার পরে দু’জনের সঙ্গে তোমরা কিভাবে আচরণ কর।
সহীহঃ মিশকাত (৬১৪৪), রাওযুন্ নাযীর (৯৭৭, ৯৭৮), সহীহাহ্ (৪/৩৫৬-৩৫৭)।

সহীহ আত্‌-তিরমীযী [ষষ্ঠ খণ্ড]
হাদিস নং ৩৭৮৬, ৩৭৮৭ এবং ৩৭৮৬।
মূল: ইমাম হাফিয মুহাম্মদ বিন ঈসা সাওরাহ আত্‌-তিরমিযী (রহিমাহুমুল্লাহ)
তাহকীক: মোহাম্মদ নাছিরুদ্দীন আলবানী
অনুবাদক ও সম্পাদনায়: হুসাইন বিন সোহরাব, হাদীস বিভাগ- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মাদীনাহ্ সৌদীআরব এবং শাইখ মোঃ ঈসা মিঞা বিন খলিলুর রহমান মুনতাব শররীআহ্ বিভাগ- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মাদীনাহ্, সৌদী আরব। 

No comments

Powered by Blogger.