কমান্ডারের আদেশ অমান্য করার পরিনাম। Consequences of disobeying the commander's orders.
সালিশীর পর আমিরুল মোমেনিন এ ভাষণ দিয়েছিলেন
প্রতিষ্ঠিত প্রশংসা আল্লাহ্র যদিও সময় আমাদের জন্য চরম দুর্যোগ ও অপ্রত্যাশিত ঘটনা বয়ে এনেছে। এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোন মাবুদ নেই, তাঁর কোন অংশীদার নেই, তাঁর সাথে আর কারো তুলনা হয় না এবং মুহাম্মাদ (সঃ) তাঁর বান্দা ও রাসুল।
সমবেদী উপদেষ্টার জ্ঞান আর অভিজ্ঞতা থাকা সত্বেও তার অববাধ্যতা আমাদের জন্য নৈরাশ্য ও দুঃখজনক ফলাফল ডেকে আনলো। এ সালিশী সম্পর্কে আমি পূর্বাহ্নেই তোমাদের নির্দেশ দিয়েছিলাম এবং আমার গোপন মনোভাব তোমাদের কাছে ব্যক্ত করেছিলাম কিন্তু তোমরা রূঢ় প্রতিপকক্ষ ও জঘন্য অবাধ্যের মত আমার আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছো। আহা! কাসিরের আদেশ প্রতিপালিত হতো!! উপদেষ্টা নিজেউ তার সিন্ধান্ত সম্পর্কে সন্দেহে পতিত হয়েছিল এবং তার বুদ্ধিমত্তা নিস্তেজ হয়েছিল। ফলে আমার ও তোমাদের অবস্থা যা কবি হাওয়াজিন বলেনঃ
মুনারাজিল লিওয়াদে আমি তোমাদেরকে আমার আদেশ দিয়েছিলাম, কিন্তু তোমরা পরদিন দুপুরের পূর্ব পর্যন্ত আমার উপদেশের কল্যাণ দেখতে পাওনি।
১। সিফফিনের যুদ্ধে ইরাকীদের রক্ত-পিপাসু তরবারি যখন সিরীয়দের উদ্দীপনা ও মনোবল ভেঙ্গে দিয়েছিল এবং আল-হারিরের রাতের অবিরাম আক্রমণে তাদের উচ্চাকাঙ্খা গুড়িয়ে দিল তখন আমর ইবনে আস মুয়াবিয়াকে একটা
কুটচারের পরামর্শ দিয়ে বললো, “বর্শার আগায় পবিত্র কুরআন তুলে ধরে ইরাকীদের কাছে দাবী করতে হবে- এ কুরআনকেই সালিশ মেনে নাও- কুরআনই তোমাদের ও আমাদের মধ্যে ফয়সালা। এতে কিছু লোক যুদ্ধ বন্ধ করতে চেষ্টা করবে এবং কিছু লোক যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাইবে। ফলে তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়ে যুদ্ধ স্থগিত হয়ে যাবে।”
আমরের পরামর্শ অনুযায়ী বর্শার অগ্রভাগে কুরআন বেঁধে উর্দ্ধে তুলে ধরা হলো। ফলে কিছু সংখ্যক জ্ঞানহীন লোক হৈ চৈ শুরু করে বিভেদ সৃষ্টি করে ফেললো এবং প্রায় জয়ের মুখে আমিরুল মোমেনিনের সৈন্যদের ক্ষিপ্রতা শ্লাথ হয়ে গেল। তারা কিছুই না বুঝে চিৎকার দিয়ে বলতে লাগলো, “যুদ্ধাপেক্ষা আমরা কুরআনের ফয়সালা অধিক ভাল মনে করি।” আমিরুল মোমেনিন যখন দেখলেন কুরআনকে চালাকরি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে তখনি তিনি বললেনঃ
“হে সৈন্যগণ, এ প্রতারণা ও চাতুরির ফাঁদে পড়ো না। পরাজয়ের গ্লানি হতে রক্ষা পাবার জন্য তারা এ কৌশল অবলম্বন করেছে। তাদের প্রত্যেকের চরিত্র আমার জানা আছে। তারা প্রকৃতপক্ষে কুরআনের অনুগামী নয়; দ্বীন বা ইমানের সাথে তাদের কোন সংশ্রব নেই। আমাদের জিহাদের মূল কারণই হলো- তাদেরকে কুআন মেনে চলতে এবং কুরআনের আদেশ-নিষেধ অনুযায়ী কাজ করতে বাধ্য করা। আল্লাহ্র দোহাই, তোমরা তাদের প্রতারণারমূলক কৌশলের শিকার হয়ো না। তোমরা এগিয়ে চলো তোমাদের উদ্দম, সংকল্প ও সাহস নিয়ে। তোমাদের শত্রুর অবস্থা মুমুর্ষু প্রায়- তাদের নিশ্চিহ্ন করা পর্যন্ত থেমে যেয়ো না।’ এতদসত্বেও প্রতারণামূলক ও বিভ্রান্তকর ও হাতিয়ার কার্য্কর হলো। কতিপয় লোক অবাধ্য হয়ে বিদ্রোহের পথ বেছে নিল। এদের মধ্যে মিসার ইবনে ফদকী আত-তামিমী ও জায়েদ
ইবনে হুসাইন আত-তাঈ বিশ হাজার সৈন্য নিয়ে এগিয়ে এসে আমিরুল মোমেনিনকে বললো, “হে আলী, আপনি যদি কুরআনের যাকে সাড়া না দেন তবে আমারা উসমানের সাথে যেরূপ ব্যবহার করেছি আপনার সাথেও তদ্রূপ ব্যবহার করবো। আপনি এখন যুদ্ধ বন্ধ করুন এবং কুরআনের ফয়সালা মেনে নিন।” আমিরুল মোমেনিন তাদের বুঝাতে আপ্রাণ চেষ্টা কররেন কিন্তু শয়তান তাদেরকে বুঝতে দেয়নি। মালিক ইবনে হারিছ আশতার বিপুল বিক্রমে তখন শত্রু নিধন করে এগিয়ে যাচ্ছিলো। মালিককে যুদ্ধক্ষেত্র হতে ফেরত আনার জন্য কাউকে পাঠাতে তারা আমিরুল মোমেনিককে বাধ্য করলো। ফলে ইয়াজিদ ইবনে হানিকে দিয়ে মালিককে ডেকে পাঠানো হলো। মালিক এ আদেশ শোনামাত্র হতভম্ব হয়ে বললেন, “তাঁকে (আমিরুল মোমেনিনকে) আমার সালাম জানিয়ে বলো এখন অবস্থান ত্যাগ করার সময় নয়। তাঁকে একটি অপেক্ষা করতে বলো। অল্পক্ষনেই মধ্যেই বিজয়ের সংবাদ নিয়ে আমি তাঁর কাছে হাজির হবো।” ইবনে হানি এ বার্তা নিয়ে আমিরুল মোমেনিনের নিকট পৌঁছলে লোকেরা চি’ৎকার দিতে লাগলো যে, যুদ্ধ চালিয়ে যাবার জন্য তিনি গোপন খবর দিয়েছেন। অথচ তিনি যা বলেছিলেন তাদের সামনেই বলেছেন। লোকেরা তখন বললো, যদি মালিক ফিরে আসতে বিলম্ব করে তবে আমিরুল মোমেনিন তাঁর জীবনের আশা ত্যাগ করতে পারেন। এরপর ইবনে হানিকে আবার পাঠানো হলো। তিনি মালিককে বললেন, “তোমার কাছে কি আমিরুল মোমেনিনের জীবন অপেক্ষা বিজয় বেশী প্রিয়? যদি তাঁর জীবন বেশী প্রিয় হয়ে থাকে তবে যুদ্ধ ছেড়ে তাঁর কাছে চলে যাও।” বিজয়ের সুযোগ ছেড়ে দিয়ে হতাশা আর দুঃখ ভরাক্রান্ত মন নিয়ে মালিক আমিরুর মোমেনিনের সম্মুখে উপস্থিত হলেন। তিনি দেখলেন সেখানে গোলযোগ চলছে। তিনি সেখানে উপস্থিত লোকদেরকে অপেক তিরস্কার করলেন কিন্তু ব্যাপরটা এমনভাবে মোড় নিয়েছিল যা আর ঠিক করা সম্ভব হয়নি।
অবশেষে স্থির হলো যে, উভয়ে একজন করে সালিশ মনোনীত করবে যারা কুরআন অনুযায়ী খেলাফতের বিষয় নিষ্পত্তি করবে। মুয়াবিয়ার পক্ষ হতে আমর ইবনে আসকে মনোনয়ন দেয়া হলো। আমিরুল মোমেনিনের পক্ষ হতে মুসা আশআরীর নাম প্রস্তাব করা হলো। এ ভুল মনোনয়ন দেখে আমিরুল মোমেনিন বললেন, “সালিশীর ব্যাপারে তোমরা আমার আদেশ অমান্য করেছো। এখন অন্ততঃ আমার এ কথাটি মান্য কর যে, আবু মুসাকে সালিশ মনোনীত করো না। সে বিশ্বস্ত লোক নয়। আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস অথবা মালিক আশতার- এ দু’জনের একজনকে সালিশ মনোনীত কর।” কিন্তু তারা তাঁর কথা মানলো না এবং তাঁর দেয়া নাম বাদ দিয়ে দিল। আমিরুল মোমেনিন বললেন, “ঠিক আছে, তোমরা যা খুশী করো। তবে সেদিন বেশী দূরে নয় যখন তোমরা বুঝতে পারবে যে, নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মেরেছে।”
সালিশ মনোনয়নের পর যখন এতদসংক্রান্ত চুক্তিপত্র দলিল লেখা হলো তখন আলী ইবনে আবি তালিব পর আমিরুল মোমেনিন” শব্দগুলো লেখা হয়েছিল। এতে আমর ইব আস বললো, “আমিরুল মোমেনিন মুছে ফেলো। যদি আমরা তাকে আমিরুল মোমেনিন বলেই স্বীকার করি তবে কে এ যুদ্ধ পড়ছি?” প্রথমতঃ আমিরুল মোমেনিন আমরের প্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানালেন কিন্তু তারা কোনভাবেই এ শব্দগুলো চুক্তিতে রাখতে রাজী হয় না দেখে আমিরুল মোমেনিন তা মুছে ফেলে বললেন,“এ ঘটনা হুদায়বিয়ার সন্ধির মতোই যখন কাফেরগণ আল্লাহ্র রাসূল লেখা মানলো না এবং রাসুল (সঃ) তা কেটে দিলেন।” এ কথায় আমর ইবসে আস রাগান্বিত হয়ে বললো, “আপনি কি আমাদেরকে কাফের মনে করেন?” আমিরুল মোমেনিন বললেন, “তুমি কি কোনদিন মোমেনদের সাথে কিছু করেছিলে? তুমি কি কোনদিন মোমেনদের সমর্থক ছিলে?” যা হোক এ চুক্তির পর জনতা চলে গেল এবং সালিশদ্বয় পাস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সাব্যস্ত করলো যে, আলী ও মুয়াবিয়া উভয়কে খেলাফত থেকে সরিয়ে দিয়ে যাকে ইচ্ছা মনোনীত করার ক্ষমতা জনগণকে দেয়া হবে। এ সিন্ধান্ত ঘোষণার জন্য ইরাক ও সিরিয়ার মধ্যবর্তী দুমাতুল জান্দাল নামক স্থানে একটি সভা আহবান করা হলো। সালিশদ্বয়ও তাদের রায় ঘোষণার জন্য সেখানে উপস্থিত হলেন। আমর ইবসে আস চাতুর্যের পথ অবলম্বন করে আবু মুসাকে বললো, “আপনি বয়ঃজ্যেষ্ঠ, আপনার আগে কথা বলা আমি বেয়াদবি মনে করি। কাজেই আপনি আগে ঘোষণা করুন।” আবু মূসা তোষামোদে আভিভূত হয়ে জনতার সামনে গর্বভরে দাঁড়িয়ে বললেন, “হে মুসলিমগণ, আমরা উভয়ে যুগ্নভাবে সাব্যস্থ করেছি যে, আলী ও মুয়াবিয়া খেলাফত থেকে সরে দাঁড়াবে এবং আপনার আপনাদের পছন্দমত একজন খলিফা নিয়োগ করবেন।”একথা বলে আবু মুসা বসে পড়লেন এবং আমর ইবনে আস দাঁড়িয়ে বললো, “হে মুসলিমগণ, আপনারা শুনলেন যে, আবু মুসা আলী ইবনে আবি তালিবকে অপসারণ করেছেন। আমি তার সাথে একমত পোষণ করি। মুয়াবিয়াকে অপসারণ করার প্রশ্ন উঠে না (কারণ স খলিফা নয়)। সুতরাং আলীর স্থলে আমি মুয়াবিয়াকে নিয়োগ করলাম।” আমর ইবনে আস একথা বলা মাত্র চতুর্দিকে হৈ হুল্লোড় শুরু হয়ে গেল। আবু মুসা চিৎকার দিয়ে বলতে লাগলেন যে, এটা চাতুরি-এটা প্রতারণা। কিন্তু কে শোনে কার কথা! তিনি ইবনে আসকে বললেন, “তুমি চাতুরি করেছো। তোমার উপমা সেই কুকুরের মত যার কাছে কোন কিছু রাখলে সে আত্মসাৎ করে।”আমর ইবনে আস বললো, “তোমরা উপমা সেই গাধার মত যার পিছে পুস্তক বোঝাই করা হয়।” আমরের এ চাতুর্যের ফলে মুয়াবিয়ার কম্পিত পা আবার কিছুটা শক্ত হলো।
সংক্ষিপ্তাকারে সালিশীর ফলাফল এটাই যা কুরআনের নামে করা হয়েছে। এহেন প্রতারণা কি কুরআনের শিক্ষা? ইতিহাসের এ পাতাগুলো ভবিষ্যতে পথ-নির্দেশক হিসেবে গ্রহণ করা যায় কি? আমিরুল মোমেনিন সালিশীর এ দুঃখদায়ক সংবাদ পেয়ে মিম্বারে উঠে এ খোৎবা প্রদান করেছিলেন।
২। এটা একটা আরবী প্রবাদ। কোন পরামর্শদাতার উপদেশ অমান্য করে পরে অনুশোচনা করলে এ প্রাবাদ প্রয়োগ করা হয়। এ প্রবাদের ঘটনা হলো-হীরা অঞ্চলের শাসনকর্তা যাযিমাহ্ আল আব্রাশ জামিরাহ্ অঞ্চলের শাসনকর্তা আমর ইবনে যারিবকে হত্যা করে তার কন্যা যাব্বাহ্কে জামিরাহ্র শাসনকর্তা নিয়োগ করেন। সিংহাসনে আরোহণ করেই যাব্বাহ্ তার পিতার রক্তের বদলা নেয়ার পরিকল্পনা করে। ফলে সে যাযিমাহ্র নিকট এ বলে বার্তা প্রেরণ করলো যে, একাকিনী অবস্থায় শাসনকার্য্ পরিচালনা করা তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। সুতরাং যাযিমাহ্ যদি তাকে স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করে শাসনকার্যে তার পৃষ্ঠপোষকতা করে তবে সে কৃতজ্ঞ থাকবে। যামিমাহ্ এ প্রস্তাবে উৎফুল্ল হয়ে এক হাজার অশ্বারোহী নিয়ে জাযিরাহ্ অঞ্চলের উদ্দেশ্যে যাত্র করলো। যামিমাহ্র ক্রীতদাস কসির তাকে উপদেশ দিয়েছিল যে, এ প্রস্তাব প্রতারণা ও চাতুরি ছাড়া আর কিছু নয়। কাজেই যাযিমাহ্ এ বিপদে নিজকে ঠেলে না দেয়াই মঙ্গল। কিন্তু যাযিমাহ্র বুদ্ধিমত্তা এমভাবে লোপ পেয়েছিল যে, সে চিন্তাই করতে পারেনি কেন যাব্বাহ্ তার পিতার হত্যাকারীকে স্বামী হিসাবে বরণ করবে? যখন যে জাযিরাহ্ রাজ্যের সীমান্তে পৌঁছে দেখলো যাব্বাহ্র সৈন্য তাকে সম্বর্ধনা দেয়ার অপেক্ষা করছে কিন্তু কোন বিশেষ সম্ভর্ধনা বা অভ্যর্থনার ব্যবস্থা করা হয়নি। এতে কাসিরের সন্দেহ আরো ঘনীভূত হলো। সে যামিমাহ্কে ফিরে যেতে বললো। যামিমাহ্ তার উপরদেশ কর্ণপাত করলো না। ফলে শহরে পৌঁছা মাত্রই মাযিমাহ্কে হত্যা করা হলো। এতে কাসির বললো,“আহা, যদি কাসিরের উপদেশ মান্য করা হতো।” এ থেকেই আরবী ভাষায় এ প্রবাদ প্রচলিত হয়েছে।
৩। হাওয়াজিনের কবি বলতে দুরায়েদ ইবনে সিম্মাহকে বুঝানো হয়েছে। তার ভ্রাতা আবদুল্লাহ্ ইবনে সিম্মাহর মৃত্যুতে এ কবিতা লিখেছিল। ঘটনাটি হলো- আব্দুল্লাহ্ ও তার ভাই হাওয়াজিনের বনি জুশাম ও বনি নসর এর নেতৃত্বে দিয়ে একটি আক্রমণ পরিচালনা করে অনেক উট তাড়িয়ে নিয়ে এসেছিলেন। ফেরার পথে মুনআরাজিল নিওয়া নামক স্থানে বিশ্রাম গ্রহণের জন্য আবদুল্লাহ্ মনস্থির করলো। দুরায়েদ তাকে নিষেধ করলো কারণ পেছন থেকে শত্রু আক্রমণ করতে পারে। কিন্তু আবদুল্লাহ্ কর্ণপাত না করে সেখানে রয়ে গেল। ফলে ভোরবেলা শত্রু আক্রমণ করে আবদুল্লাহ্কে হত্যা করলো। দুরায়েদ আহত হয়ে প্রাণে বাঁচলো। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুরায়েদ বেশ কয়েকটি কবিতা লিখেছিল। তন্মধ্যে খোৎবায় উল্লেখিত কবিতাটি জনপ্রিয়।
নাহ্জ আল-বালাগা
আমিরুল মোমেনিন আলী ইবনে আবি তালিব
সংঙ্কলনঃ আশ-শরীফ আর-রাজী
ইংরেজি অনুবাদঃ সৈয়দ আলী রেজা
বাংলা অনুবাদঃ জেহাদুল ইসলাম
খোৎবা-৩৫ পৃষ্ঠা নং ৬১-৬৪
No comments