রাসূলে পাক (সাঃ) এর সাথে সাহাবী বেয়াদবী জানলে আবাক হয়ে জাবেন ?
বোখারী শরীফে নবিজি স্পষ্ট করে বলেছেন ওয়াহাবিদের চিনবার উপায়:-
দলিল:- বোখারী শরীফ ১মখন্ড:-১৪১ পৃষ্ঠা,৫০৯পৃষ্ঠা,আবুহুরাইরা রাদি:থেকে বর্ণিত! ৫২১ পৃষ্ঠা, ৮৮৭ পৃষ্ঠা, হযরতে আনাস রাদি:
হাদিস ! বোখারী শরীফ ২য় খন্ড:-১০৫০ পৃষ্ঠা,১০২৪ পৃষ্ঠা আবুসাঈদ কুদরীর হাদীস!
আল্লাহ্ নবীর বিরোধীতা করেছিলো আব্দুল্লাহ ইবনে ওবারইর ইবনে সুলুল,তার ইবাদত দেখে সাহাবিরা লজ্জা পেত! হুনাইনের যোদ্ধের
সময় নবীজি গনিমতের মাল ডানে আর বামে বণ্টন করে দিচ্ছিল, কোন কোন সাহাবাগণ কান্না করছিল নবীজি আমাদের সাথে আর
মদিনায় থাকবে না একথাধারণা করে!
তখন হুতকরে একজন দাঁড়িয়ে বলল,, নাহনু আহাব্বুবিহি ইয়া রাসুল আল্লাহ:- হে নবি আপনি ইনসাফ করুন আমাদের ও হক্ব আছে,
নবিজি বলল,, হে কপাল পুড়া,মুহাম্মদ যদী ইনসাফ করতে না পারে,ইনসাফ কে করবে এই দুনিয়াত! তুমি বস,আমি জানি কে ইনসাফ
জানে, না জানে, তুমি বস,আমাকে ইনসাফ শিখাতে হবে না! পিছন থেকে আরেকজন দাঁড়িয়েগেল,, দাড়িওয়ালা, পাগরি ওয়ালা
আব্দুল্লাহ ইবনে জুল হুয়াইসারা আত্তামিমিও, সে বলল:- মা আনসাত্তা ইয়া রাসুল আল্লাহ- আপনি ইনচাপ করতে পরলেন না আমাদের
ও হক্ব ছিল,গনিমতের মালের উপরে,আপনি আপনার আত্বিয় সজন কে সব দিয়ে দিলেন, হুজুর আপনি ইনসাফ করুন! আপনি আল্লাহ
কে ভয় করুন!
তখন হযরতে ওমর রাদি: তলোয়ার বের করলেন,হুজুর আমাকে হুকুমদেন আমি মালওনের গর্দান ফেলে দেব! হযরতে হালিদ ইবলে
ওয়ালিদ দাড়িয়েগেল লাঠি নিয়ে হুজুর আমাকে হুকুমদেন আমি মালউনকে মেরেফেলবো!
তখন নবিজি কষ্ট পেয়ে বলল:- তাকে কিছু করবে না, তার পরিচয় তুমরা জেনে নাও এইলোকের গুষ্টি কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে
সারা পৃথিবীতে এই লোকের আওলাত থাকবে!
তাদের পরিচয় হবে:- তারা টুপিতে,দাড়িতে,জিকিরে,তসবিতে,নামাজে ওয়াজে কথা বলবে নবিদের মত! তাদের সুরত লেবাছ হবে
ফেরেস্তাদের মত কিন্তু মনেরেখ, তাদের মাঝে কিয়ামত পর্যন্ত রাসুলের আদব খুজে পাবে না, তারা শুধু রাসূলের বেয়াদবিতে ভরপুর
হবে,এরা হবে জঙ্গীবাদের গুষ্ঠি!
আজকে তার বাস্তব প্রমান :-সকল রকমের অত্যাচার এখনো এক শ্রেণীর হুজুরদের দারা চালু আছে কিনা বলুন? তার পর আসেন,,
এই ওয়াহাবিদের সবচেয়ে বড় হুজুর, নাসির উদ্দিন আল বানী তার কিতাব, "তাহজিরুন্নাস" এই কিতাবে লিখছে,, নবীজির কবরটা
ভেঙ্গে, তারপর সবুজ গম্বুজটা ভেঙ্গে চাদ দিয়ে দিলে ভাল হত,কবরে মুহাম্মদের হাড্ডিগুড্ডি যা আছে মাটি সহ কোথাও দূরে পেলে দিলে
এই পৃথিবীর মানুষ গুলো শিরিক থেকে বাচঁত!
এই বইয়ের রেফারেন্স দিয়ে আমাদের দেশের কিছু মাওলানারা ওযাজ করে আমার দেশের সাধারন সরলমনা মানুষ কে তারা চোখে রোমাল বেধে অন্ধকারে নিয়ে যাচ্ছে, আমরা চোখে দেখে ও কিছুই করতে পারছিনা, এই দুখজ্বালা কাকে বলবো?
বুখারী শরীফের হাদীসে আসছে এক ঈহুদী নবীজির খাদেম ছিল, সে সব সময় নবীজির জুতা মুবারক বহন করতো, নবীজি মসজিদে
গেলে সে নবীজির জুতা মুবারক বুকে নিয়ে দারিয়ে থাকতো, এক দিন ছেলেটি নেই, নবিজি বলল আবুবক্কর ছেলেটি কোথায়? ইয়া
রাসুল আল্লাহ ছেলেটি অসুস্থ!, নবীজি গেলেন ছেলেটিকে দেখার জন্য, ছেলের বাবা এই খবর শুনে নবীজির জন্য চেয়ার ব্যবস্থা
করলো, নবীজি চেয়ারে বসলো না গিয়ে ছেলের পাশে বসলো! ছেলের কপালে হাত রাখলো ছেলে একবার নবীজির দিকে থাকায় আবার
তার বাবার চেহারার দিকে তাকায়, ছেলের বাবা বলল বাবা আমার দিকে নই, কলেমা পড় ছেলে কলেমা পড়লো মুসলমান হয়ে কবরে গেল।
নবীজি এসে বলল আবুবক্কর ছেলেটি আজ আমার জন্য মুক্তি পেয়ে জান্নাতি হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিল, আমি তার মমতায় হাত
রেখে ববুঝতে পারলাম আমার আগে আজরাইল এসে হাজির হয়ে গেল,আমি কলিজা পাঠিয়ে আল্লাহ্ নিকট দোয়া করলাম হে আল্লাহ
যে ছেলে আমার জুতা সাত সাত টি বছর বহন করলো সে জাহান্নামি হয়ে হয়ে মরে যায় আমি তা সয়তে পারবোনা, আল্লাহ্ দয়া হল
আমার উছিলাতে সে কালেমা পড়ে জান্নাতি হয়ে কবরে চলে গেল!
আলেক জান্দিয়াতে শরফুদ্দিব বসরি (রহ:) ওনার পা প্যারালাইচেস হয়ে গেল, সে মনের দুখেঃ ৭২ লাইনের কবিতা লিখেছে এখনো
তার মাজারে এই ৭২ লাইনের কবিতা ঝুলানো আছে শেষের দুটি লাইন হল এই
আমারে মাপ কররে নিন্দুক ভাই
রাসুলের প্রেম ছাড়া আমার আর কোনো দোষ নাই
এই জামানার আলেমেরা তাকে ভন্ড পতুয়া দিয়ে ছিল! এই কবিতা লিখতে লিখতে তিনি ঘুমিয়ে পরলেন সপ্নে নবীজি এসে তার পা ভাল
করে দিলেন, আর বললেন খালি গা কেন টান্ডা লাগেনা নাও এই তোমার চাদর, সে সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে তার পা ভাল,তার
শরীরে সবুজ রংঙ্গের চাদর লাগানো, এই মহান অলি এই সবুজ রংঙ্গের চাদর কবরে নিয়ে গেলেন এখনো এই চাদর কবরে নিয়ে ঘুমিয়ে
আছেন!
সবাই বলে,মুসলমান- মুসলমান ছোটখাটো মতপার্থক্য সব বিভেদ তুলে দিয়ে আমাদের এক হওয়া উচিৎ, কিন্ত ছোটখাটো মতপার্থক্য
বলতে কোনটা বোঝাচ্ছে.......
.............................
১. নবিজি আমাদের মত জহিরুউদ্দীন, তবিরউদ্দীন ও কলিমুউদ্দীনের মত একজন সাধারন মানুষ, এটা কি ছোটখাটো মতপার্থক্য হতে পারে?
২. নবীজির রওজা মোবারকে জিয়ারতের নিয়ত করে যাওয়া শিরিক! এটা কি কোনো মুসলমানেরর ধারনা হতে পারে?
৩. সবাই মিলে রাসুল সাল্লালাহু আলাইহিওয়াসালামারর উপরে সবাই মিলে এক সাথে দুরুদ শরীফ পাঠ করা এটা একটা বেদাত! এটা কি ছোটখাটো মতপার্থক্য?
৪. নবী মরে পচে মাটির সাথে মিশে গেছে। দুনিয়াতে থাকা একটা লাঠির শক্তি যে কোনো কবরে থাকা ব্যক্তির চেয়ে বেশী!
(নাউজুবিল্লাহ) এটা কি ছোটখাটো মতপার্থক্য?
৫.নামাজে নবীজির ধারনা আসা, জীব জানোয়ারের ধারনা চেয়ে নিকৃষ্ট, আলবানী সাহেব বলেছেন, তার কিতাব তাহজিরোন্নাসে!
নাউজুবিল্লা! আলবানি সাব কি নামাজে দরুদ পড়েন না! নবীকে নামাজে সালাম দেননা, তখন সালামে কার ধারনা আসবে! ৭২ দল
জাহান্নামিরা, আমাদের মত কাঁদে রাসূলের কথা বলে! দাড়ি টুপি,পাগড়ি,কলেমা,জিকির,তরিকা সবকিছু আছে নাই শুধু একটা জিনিস!
সেটা হল আমার রাসূলের প্রেম ও আদব!
(১) কাদীয়ানী তার মত এত বড় আলেম ভারতবর্ষে কেউ ছিলনা, কেউ বহেস করে পারতোনা, তার সবকিছু ঠিক ছিল,সে তাহাজ্জত
নামাজও পড়তো, তার অপরাধ কি? সে নবীর মোহাব্বত করতো না,নবীকে আমদের মত মানুষ মনে করতো, তার দুষমনী নবীর
সাথে হওয়ার কারনে সে জাহান্নামি! অবশেষ সে আল্লামা আতাউল্লাহ বুহারীর সাথে বহেস করে পরাজয় হয়ে, পায়হানায় পরে মরেছেন!
(২) আহলে হাদীস তারা সরাসরি রাসূলের দুষমন, নবীজিকে মুর্দা নবি বলে! তারা বলে আল্লাহর অলি বলতে কিছু নাই! মাযহাব মানা
হারাম! তাই তারা হল রাসূলের দূষমন, কিন্তু আমাদের মত তারাও নামাজ রোজা করেন ! শুধু নবিকে নিয়ে তাদের সমস্যা!
ওহাবিরা মাজাহাব মানলেও মাঝেমাঝে সরাসরি ও সবসময় পরোক্ষভাবে রাসূলের দুষমনি করেন, যেমন তারা বলে রাসুলেকে
মোহাব্বতে দাড়িয়ে সালাম বা সম্মান করা বেদাত, নবীজির নূরকে অস্বীকার করে, অদৃশ্যের জ্ঞান রাখার শক্তি নবীজির নাই,
নবীজির চাইলে ও উপস্থিত হতে পরেন না, তা ছাড়াও তারা আহলে হাদিসের নামে কিছু কিছু মাওলানারাও মুনাফেকও রাসূলের
পেছনে নামাজ পড়তো, হাত তুলে কেদেকেদে আল্লাহরর নিকট দোয়া চাইতো, কিন্ত রাসূলের প্রেম তাদের সহ্য হতনা, নিরবে
আবুজাহেলের সাথে নবিজির সমালোচনা করতো !
(৩) আবুজাহেল নিজে দাবি করতো সে বড় ঈমানদার, আমি আসমানি কোরআন,কালেমা, হাসর মিজান মানি,কিন্ত আবদুল্লারর ছেলে
মুহাম্মদ কে আল্লাহ পালঠিয়ে দিলেই চলবে তাকে ছাড়া সব মানি!
আল্লাহ বলেন,দুনিয়ায় তুদের কাউকে আমার দরকার নাই,যার মায়া মহাব্বতে জন্য দুনিয়ায় সৃষ্টি করছি, সেই একজন আমার
দরকার! আল্লাহ কত সম্মান করেন তার নবীকে আর ওয়াহাইব্বরা বলে, ঐ নবিজিকে সালাম দেওয়া বেদাত!
মনোযগ সহকারে পড়ুন
নবীজির কথা কখনো মিত্যা হতে পারেনা,৭২ দল মুসলমানি হল জাহান্নামি, আমার কথা নয়, তাই আসুন সুন্নীয়াতের গভীরতম অংশে
প্রবেশ করুন,,ও সুন্নিয়াতের তাজ দাওয়াতি ইসলামিকে আকরে ধরুন,,, আসুন ৭২ দল জাহান্নামি মুসলমানদেরকে আরো একটু ভাল
করে জানি।
নাসিরুদ্দীন আলবানি বলেছিল, হুজুর দ: এর কবর মসজিদে নববীর বাইরে সরিয়ে দিলে ভালো হতো, রাসূলুল্লাহ কে ১মাস কান্দাইছে,
ইহুদী- নাসারা না মুসলমান।হজরতে ওমর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে শহীদ করছে কারা? অ্যামেরিকা, রাশিয়া, ইউরুপ করছে?
না মুসলমান করছে?
তাদের মুখে দাড়ি ছিল।
হজরতে উসমান রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে যারা শহীদ করছে ৪০ দিন তারা উসমান রাদিয়াল্লাহুর বাড়ির সামনে জামাত করে
নামায পড়ছে, আজান দিয়া। এরাও কারা? মুসলমান।
হজরতে আলী রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে যে শহীদ করছে, এটা এমন মুসলমান তার আমল দেইখা সাহাবীরা লজ্জা পাইতো। তার
চেহারা দিয়া নূর চমকাইতো, ঘুমাইলে জিব্বাহ যিকির করতো। এই বেটা কইছে আলীর চাইতে বড় কাফির কেউ নাই। এই বেটা
কইছে রাসূলুল্লাহর চাইতে জিব্রাইলের মর্যাদা বেশি। তারা নামাজী ছিল, কপালে দাগ ছিল।
হজরতে হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে যারা শহীদ করছে তারা জুমার নামাজ আজান দিয়ে পড়ে নাই? এবং হজরতে হুসাইন
রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে শহীদ করার পর নিষ্প্রাণ হজরতে হুসাইন(রা:) দেহ মোবারকের পাশে তারা দাড়াইয়া আছরের নামাজ
পড়লো।এদের এ কেমন নামায ছিল।
হজরতে হুসাইনের দেহ মোবারকের উপর ঘোড়া চালায় দিলো, তেতলায় দিলো, তাদের চোখ দিয়ে পানি আসলো না কারো।
এরাওতো মুসলমান, এরাওতো নামাযী, এরাও কপালে দাগওয়ালা-দাড়ি ওয়লা। খোদার ঘর বাইতুল্লাহ শরীফে আগুন
দিয়েছিলো তারাও কিন্ত কাফির মুশরিক, ইহুদী, বৌদ্ধ, হিন্দু খ্রিস্টান কেও ছিল না বরং ছিল মুসলমান।
লেখাপড়া পড়া করে কেও আল্লাহর অলী হয় নাই, বাতেলেরা ঈমান ছাড়া আমল করে,আর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ঈমানের
সাথে আমল করে,ফলে অলীয়ে কামেলে পরিনত হয়। আল্লাহ যেন এদের ঈমান ভাল করে দেন, আমিন, ইহুদিরা এদের আমল দিয়ে
গেছে, ঈমান নিয়ে গেছে তারা হল ওয়াহাবি, আরেক দলের আমল ও নিয়ে গেছে ঈমান ও নিয়ে গেছে তারা হল ভন্ড পীর।
আমরা এখনো যারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতে মধ্যে আছি, আর অবহেলা না করে, সারা জিবনের যে সকল আমল থেকে বঞ্চিত
হয়েছি তার জন্য তওবা করে, নতুন রূপে আমল আরাম্ভ করি আল্লাহ কে রাজি খুশী করার জন্য তওবার করি।
ফলে আল্লাহ মাপ করে দিতে পারে, যদীও দয়াল নবী দ: কোনো গুনাহ ছিল না তবু দৈনিক ১০০ বার তওবা করতেন, উম্মত কে
তওবার গুরুত্ব বুঝানোর জন্য। তাই যে ঈমান আনয়ন করলো সে বেলায়তের দরজায় পা রাখলো, তখন সে যে আমল করবে এটাই
হবে সোনায় সুহাগা, তার আমলের ভিওি যত মজবুত করতে পারবে সে তত দূর বেলায়তের ক্লাশ অতিবাহিত করতে পারবে, ক্লাসগুলো হলঃ
(১).সালেকের দরজা,তার পর
(২).মুমিনে আকমাল,তারপর
(৩).মজ্জুকে সালেক,তারপর
(৪).মুজ্জুক,তারপরের দরজা
(৫).মহাল,তারপর
(৬).কুতুব, তারপর
(৭).আকতাব
(৮).সজিব
(৯).নকিব
(১০).আবদাল
(১১).গাউস, এবং
(১২).গাউসুল আজম তখন তিনি পরিপূরন অলি!
যাদের রাসূলের ইজ্জত সহ্য হয়না, এরা মেক্সিমাম হারামজাদা হয়! যদিও দুএকটার বাপ থাকে বাপের পরিচয় থাকেনা! আব্দুল
ওয়াহাবনজদীরে তেজ্জপুএ করেছিল তার বাবা মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহাব! তার বাবা হেরেম শরীফে ধরে বদদোয়া করেছিল,
নবীর দুষমন এই পুত্রকে আল্লাহ তুমি ধংস কর! ডাক্তার যখন রোগীর কাটা ঘাউ এর ডেসিং করে পুজ পরিষ্কার করে সে কি আরাম
পায়? মাগু- বাবাগু করে কাদে?
আমি চাই তোমরা যেন রাসূলের সাথে দুষমনি বন্ধ কর! আর আল্লাহ যেন তোমাদের সকলকে আশেকে রাসূল তোমাদেরকে বানিয়ে
দেয়! এর মানে শয়তান আশেকে রাসূল না, শয়তানের ও আশেকে রাসূল হয়! যেই ভন্ড পীর বলে আমি মা ফাতেমার স্বামী, আমি
অলী আমিই নবী, সেখানে আমাকেই পাইবা! ( নাউজুবিল্লা) এমন শয়তান পীর বাংলাদেশে এখনো আছে কি না? না আছে বলুন?
যদি দেশবাসীর ঈমান বাচাতে হয়,তাহলে এই ভন্ড পীরদেরকে আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া আমাদের উপরে ফরজে আইন হয়ে দাঁড়িয়ে!
এই শিক্ষা আমরা কার নিকটে পেয়েছি জানেন? এই শাস্তিটা হযরত আলী রাঃ আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন! এক লোক এসে হযরতে
আলী রাঃ নিকটে, আল্লাহর নামে বাজে বাজে মন্তব্য করলো,আল্লার নামে মিত্যা অপবাদ বলেছিল, তাই আলী রা: সাথে সাথে ঐ
লোকটাকে জীবিত আগুনে জ্বালিয়ে মেরেছে!
আসল ওয়াহাবি কে এবং কারা?
মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহ্যাব নজদী তেরশ শতাব্দিতে আরবের নজদ নামক প্রদেশে আত্তপ্রকাশ করে।সে ভ্রান্ত আকিদায় বিশ্বাসী ছিল ।
সে আহলুসসুন্নাত ওয়াল জামাতের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত থাকত এবং তার নিজ আকিদা ছাড়া অন্য আকিদার মুসলমানদের কাফের হিসাবে
আখ্যায়িত করত। ভিন্ন আকিদার মুসলমানদের মাল ধন সম্পদ জোর করে ছিনিয়ে নেওয়াকে হালাল ও তাদের হত্যা করাকে পূণ্যের
কাজ বলে ফতো্যা দিত।এই ওয়াহাবীরা তৎকালীন আমলে দলে এত ভারী ছিল যে তাদের হাতে হাজার হাজার খাটি মুসলমান শহীদ
হয়েছিল।তাদের অত্যাচারে তৎকালীন সময়ে মক্কা মদিনার অনেক মুসলমান পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।সেই থেকে আরব দেশসহ
অন্যান্য মুসলিম দেশে ওয়াহাবী ও তার অনুসারীদের কঠোর সমালোচনা করা হয় ও ঘৃনা চোখে দেখা হয়।
ওয়াহাবীদের আকিদা বা মুলনীতি।
১। ওয়াহাবীদের আকিদা পোষন করে যে নবী রসুল গনের জীবন শুধু মাত্র ইহকাল পর্যন্ত সীমিত মৃত্যুর পর ওনারা অন্যান্য সাধারন
মুসলমানদের মত কবরে বিলীন হয়ে যায়।(নাউযুবিল্লাহ) তারা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে আজেবাজে কথা
বলে যা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব।
২। ওরা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিজেদের সমকক্ষ মনে করে।নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শুধু
মাত্র তাবলীগের কাজে পাঠানো হয়েছে।(নাউযুবিল্লাহ)
৩।নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা মোবারক জিয়ারত করাকে বিদাআত ও হারাম বলে মনে করে।
৪। এরা রাসুল করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে গায়েবী সালাম আস্সালাতু আস্সালামু আলাইকা বলা কে শিরক ও হারাম মনে করে।
৫। এরা মনে করে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কেবল শরীয়ত ইলম জানতেন বাতেনী ইলম জানতেন না।
৬। আত্তসুদ্ধি, সুফিয়াকেরামদের নিয়ম নীতি ,মুরাকাবা, পীর মুরিদিকে নাজায়েজ ও হারাম বলে।
৭। এরা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দুরুদ সালাম পাঠানো অপছন্দনীয় কাজ বলে মনে করে।
৮। এরা নবীগন ও আউলিয়াগনের জীবন বৃত্তান্ত আলোচনাকে খারাপ মনে করে।
৯। এরা নিজেদের আকিদা ছাড়া অন্য আকিদার লোকদের কাফের বলে সম্বোধন করে।
১০।তারা অন্য আকিদার মুসলমানদের মালামাল গনিমত হিসেবে কেড়ে নেওয়া হালাল।
প্রিয় পাঠক ভাই ও বোনেরা আমি এই লেখাগুলো অনেক গুলো জায়গা থেকে সংগ্রহ করেছি।যা এখানে বলা হয়েছে আমাদের সমাজে এই সব আকিদা প্রচলত হয়ে যাচ্ছে।এভাবে চলতে থাকলে সামনে কি হবে আমাদের জানা নেই....................................
একদম সব সত্যি কথা আমাদের রাসূল (সাঃ)-কে সম্মান দিতে গায়ে কাটা বিধে এমন লোক এখনো অনেক আমরা দেখতে পাই।
ReplyDelete