ইতিহাসের সর্বোচ্চ খুনী
- প্রথম নামটি বলতে হলে নাম আসে হিটলারের, সে খৃষ্টান । ৬০ লক্ষ ইহুদি হত্যা করেছিলো।
- জোসেফ স্ট্যালিন ছিল খৃষ্টান
। সে ২০ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে, এবং ১৪.
৫ মিলিয়ন মানুষ অসুস্থ হয়ে ধুকে ধুকে মারা গেছে।
- মাও সেতুং একজন সে বৌদ্ধ
টেররিস্ট । ১৪ থেকে ২০ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে !
- মুসলিনী (ইটালী) ৪ লাখ
মানুষ হত্যা করেছে ! সে কি মুসলিম ছিল ? না
সে খৃষ্টান টেররিস্ট !!
- অশোকা (কালিঙ্গা বেটল) সে ছিল হিন্দু যে ১ লাখ মানুষ
হত্যা করেছে !
- আর জজ বুশ ইরাকে, আফগানিস্থানে
প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে ! সেও খ্রিস্টান ছিল।
-
এখনো মায়ানমারে প্রতিদিন
মুসলিম রোহিঙ্গাদের খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, উচ্ছেদ করছে!
- যাদের দ্বারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
শুরু হয় তারা কি ছিল?
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যারা
শুরু করেছিল তারা কি মুসলিম ছিল?
- হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে
পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল ?
- অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কারের
পর নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য ২০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসীকে হত্যা করেছিল,
তারা কে ছিল?
- আমেরিকা আবিষ্কারের নিজেদের
প্রভাব বিস্তারের জন্য দক্ষিন আমেরিকাতে ৫০ মিলিয়ন এবংউত্তর আমেরিকাতে ১০০ মিলিয়ন এবং
রেড-ইন্ডিয়ানকে হত্যা করে, তারা কি মুসলিম
ছিল?
- আফ্রিকার ১৮০ মিলিয়ন আফ্রিকান
কালো মানুষকে কৃতদাস বানিয়ে আমেরিকা নিয়ে যায়। তারমধ্যে ১০০ জনের মধ্যে ৮৮ জনই সমুদ্রেই
মারা গিয়েছিল এবং তাদের মৃতদেহকে আটলান্টিক মহাসাগরে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, তারা কি
মুসলিম ?
আল্লাহর অশেষ রহমতে এসব
মহাসন্ত্রাসী ও অমানবিক কার্যকলাপের সাথে মুসলমানরা কখনো জড়িত ছিলনা। আশা করা যায়
মুসলিম কখনো মহাসন্ত্রসী কাযকলাপে জড়িত হবে না এজন্য আল্লাহর কাছে আমাদের মুসলিম জাতীর
জন্য সাহায্য কামানা করছি। এর সাথে আরো সাহায্য কামনা করছি যেন বিশ্ব মুসলিম জাতি এক
হয়ে একটি শান্তিপূণ জাতি গঠন করতে সমথ হয়।
আসুন জানি মানুষ হত্যা সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?
এখনো মায়ানমারে প্রতিদিন
মুসলিম রোহিঙ্গাদের খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, উচ্ছেদ করছে!
আল্লাহর অশেষ রহমতে এসব
মহাসন্ত্রাসী ও অমানবিক কার্যকলাপের সাথে মুসলমানরা কখনো জড়িত ছিলনা। আশা করা যায়
মুসলিম কখনো মহাসন্ত্রসী কাযকলাপে জড়িত হবে না এজন্য আল্লাহর কাছে আমাদের মুসলিম জাতীর
জন্য সাহায্য কামানা করছি। এর সাথে আরো সাহায্য কামনা করছি যেন বিশ্ব মুসলিম জাতি এক
হয়ে একটি শান্তিপূণ জাতি গঠন করতে সমথ হয়।
আসুন জানি মানুষ হত্যা সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?
কোন মানুষ হত্যা করা ও সন্ত্রাস সৃষ্টি যেকোনো ধর্ম, মতাদর্শ ও সভ্যতাবিরোধী কাজ। খুনাখুনি, রক্তপাত কেউ বা কোন ধর্মে পছন্দ করে না। তারপরও হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য, ক্ষমতা দখলের জন্য, মানুষ আদর্শের উগ্র উন্মাদনায় মেতে ওঠে, পার্থিব-অপার্থিব কল্যাণের আশায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। যা প্রকৃতপক্ষে সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই। আল্লাহ বলেন, 'যে ব্যক্তি কোনো মুমিনকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করবে, তার শাস্তি জাহান্নাম। সেখানে সে চিরকাল থাকবে'- (সুরা নিসা : ৯৩)। ইসলামের মতে, কোনো মুসলমান হাজারো অপরাধ করলেও তার সমুদয় পাপের সাজা ভোগ করে সে জান্নাতে যাবে।
কোনো মুসলিম অনন্তকাল জাহান্নামে থাকবে না। কিন্তু লক্ষ্য করুন এ আয়াতে হত্যাজনিত অপরাধের কারণে অনন্তকাল জাহান্নামে থাকার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে।
আল্লাহ আরো বলেন, 'হে মুমিনগণ, তোমরা একে অন্যের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না এবং একে অন্যকে হত্যা করো না'- (সুরা নিসা : ২৯)।
ইসলা ম কখনোঅন্যায় ভাবে কোনো অমুসলিমকেও হত্যায় উৎসাহিত করে না। আল্লাহ বলেন, '(রহমানের বান্দা তারাই) যারা আল্লাহ ছাড়া অন্য উপাস্যের ইবাদত করে না, অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করে না'- (সুরা ফুরকান : ৬৮)। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.)-এর মতে, এ আয়াতটি অমুসলিমদের হত্যার ব্যাপারে নাজিল হয়েছে। আরো (সুরা বনি ইসরাইলের: ৯) নম্বর আয়াতে, (সুরা বাকারার ৮৪-৮৫তম) আয়াতে ও (সুরা আনআমের ১৫১) নম্বর আয়াতে নরহত্যা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতো আল্লাহর আদেশ-নির্দেশ কেউ কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করলে পরকালের শাস্তির পাশাপাশি পার্থিব জীবনেও তার জন্য মৃত্যুদণ্ড (কিসাস) কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এভাবেই ইসলাম হত্যা, সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসবাদীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। কারণ ইসলাম শান্তির ধর্ম। সেখানে অশান্তি কোন আশ্রয় নেই।
ইসলাম শান্তির ধর্ম সেখানে কিভাবে অশান্তির স্থান থাকবে? থাকবে না।
ReplyDelete