Banners

রূপ চর্চায় মধুর ব্যবহার

রূপ চর্চায় মধু, মধুর উপকারিতা, স্বাস্থ্য,

রূপ চর্চায় মধুর ব্যবহার

মানুষ সুুন্দরের প্রতি একটু বেশিই লক্ষ্য আর সেটা যদি হয় নিজের রূপ-লাবণ্য তাহলে সেই বিষয়ে কোন আগ্রহের কমতি থাকে না। বিধায় নিজের রূপ-লাবণ্য ধরে রাখতে আজকাল কত কি আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করছে তার কোন হিসেব নেই। সেই দিকই লক্ষ রেখে রূপ চর্চায় মধু যে ব্যবহার করা যায় এই বিষয় নিয়ে কিছু আলোচনা  ইতিহাস  প্রসিদ্ধ  মিশরের রানী ক্লিওপেট্রা নিঃসন্দেহে বিশ্ববিখ্যাত সুন্দরী ছিলেন কথিত আছে, তিনি ত্বকের জেল্লা বজায় রাখতে  গাধার দুধ দিয়ে গোসল করতেন আর ময়শ্চারাইজার হিসেবে মুখে নিয়মিত মধু মাখতেন ময়শ্চারাইজিং এন্টিবায়োটিক গুণ মধুকে সৌন্দর্য চর্চার এক অপরিহার্য উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করছে নিম্নে সম্পর্কিত কয়েকটি টিপস দেয়া গেল

. মুখমণ্ডল পরিষ্কার করে সামান্য মধু আঙ্গুলে লাগিয়ে সারা মুখে ঘাড়ে চক্রাকারে ম্যাসেজ করতে হবে  কিছুক্ষণ পরেই মুখ ত্বক কিছুটা পৌঁছে রক্ত চলাচলের গতিকে বাড়িয়ে দেয় এরপর সামান্য গরম পানি দিয়ে মুখমণ্ডল ঘাড় ধৌত করে ফেলতে হবে এভাবে ২০-২৫ দিন মধু ব্যবহারে মুখমণ্ডল আগের চেয়ে শুশ্রী, সুন্দর লাবন্যময়ী হয়ে উঠবে

. মুখে বয়সের ছাপ পড়লে দুধ মধু একত্রে মিশিয়ে পরিষ্কার মুখে ২০ মিনিট মালিশ করে রাখতে হবে মিশ্রণটি তুলার সাহায্যে কপাল, গার, ঠোঁটের উপরিস্থান, থুতনী গলা আলতোভাবে লাগাতে হবে এভাবে ১৫-২০ দিন নিয়মিত লাগালে মুখের বয়সের ভাঁজ অনেকাংশে দূর হয়ে যাবে

. ফেসিয়ালের এক কার্যকর উৎেস হলো মধু  / চা চামচ মধু, পাঁচ চামচ ওটমিল এক চামচ জল একত্রে মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করতে হবে এরপর কাঁচা দুধে তুলা ভিজিয়ে মুখ ঘাড় মুছতে হবে যাতে বাড়তি  তেল ময়লা না থাকে এরপর উল্লেখিত পেস্টটি মুখ, গলা ঘাড়ে ভালোভাবে ম্যাসাজাকারে লাগিয়ে চল্লিশ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধূয়ে ফেলতে হবে ত্বকের ধরন তেন তেলে হলে ওটামিলের বদলে শশা লেবুর রস ব্যবহার করা যেতে পারে

. হজম ঠিক মতো না হলে এর প্রভাব দেহের ত্বকে, চুলে, মুখে, মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে মধু চুল ত্বককে স্বাভাবিক অবস্থা থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে খাওয়ার পর হানি ওয়াটার থেরাপি অর্থাৎ মধুর সাথে পানি মিশ্রিত করে (পানির সাথে মধু মিশ্রিত নয়) অর্থাৎ খেলে বিপাক সমস্যাসহ ঝুঁকি কমে যাবে, চুল পড়া বন্ধ হবে এবং ত্বকে অক্সিজেন প্রবাহ বাড়বে

. রোদে পোড়া মুখ, গাঢ়, গলা হাতের যত্নে মধু কমলালেবুর খোসা বাটা একত্রে মিশ্রিত করে আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার করে মাখলে অনেক উপকার পাওয়া যায় নিয়মিত অভ্যাস ধরে রাখলে  ত্বকের হারানো সৌন্দর্য ফিরে পাওয়া যায়

.  শীতকারে অত্যাধিক শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ঠোঁট, হাত, পা ফেটে যায়্ আর এর সমাধানে মধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার করে মধু মেখে কয়েক ঘন্টা রেখে পরিষ্কার করলে উপকার পাওয়া যায় দিনে দুএকবার, সাপ্তাহে দুতিনদিন এভাবে করলে উক্ত সমস্যা দূর হয়ে যাবে

. শুষ্ক ত্বকের যত্নে অ্যামন্ড বাটা গোলাপ ফুলের পাঁটড়ি বাটার সাথে মধুসহ মিশ্রণ বানিয়ে মুখ ঘাড়ে ত্রিশ মিনিট লাগিয়ে রাখলে উপকার পাওয়া যায় এভাবে মিশ্রণটি সংরক্ষণ করে নিয়মিত ১৫-২০ দিন ব্যবহারে উক্ত সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে

. ব্রণ একটি সমস্যা যাতে চুলকানীসহ ত্বকে বিশ্রী কালো দাগও পড়ে সমস্যায় চন্দন বাটার সাথে মধু পরিমাণ মতো মিশ্রিত করে ব্যবহার করতে হবে সেই সাথে মল ত্যাগে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা যে না থাকে তাহলে কিছু দিন ব্যবহারেই ব্রণসহ কালো দাগ দূর হয়ে যাবে

. চুলের খুশকির সমস্যায় লেবুর রসে মধু মিশ্রিত করে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করতে হবে এভাবে ২০-৩০ মিনিট পর ভালো কোন শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করতে হবে - দিন নিয়মিত ব্যবহারে খুশকির সমস্যা সমাধান হবে

১০. ত্বকের র‌্যা মরা কোষ বিদায় করতে হলে চিনাবাদামের চূর্ণের সাথে মধু সামান্য পরিমাণ মিশ্রিত করে পেস্ট তৈরী করতে হবে পরে আক্রান্ত স্থানে পরিষ্কার করলে চকচকে ভাব এসে যাবে সেই সাথে ত্বকের আর্দ্রতা ফিরে আসবে
সংগ্রহঃ বিশ্বনবী'র (সাঃ) চিকিৎসা বিধান, ডাঃ আলমগীর মতি

No comments

Powered by Blogger.