ইমাম হাসান ও হুসাইন (রা)- এর মর্যাদা সম্পর্কিত বুখারী শরীফ এর মূল্যবান হাদীস সমূহ। Bukhari Sharif's valuable hadiths regarding the status of Imam Hasan and Hussein (RA).
ইমাম হাসান ও হুসাঈন (রা)- এর মর্যাদা
২১০২. পরিচ্ছেদঃ হাসান ও হুসাইন (রা)-রে মর্যাদা। নাফি ইব্ন জুবাইর (র) আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সাঃ) হাসান (রা)-এর সাথে আলিঙ্গন করেছেন
৩৪৭৪। সাদাকা (ইব্ন ফায্ল) (র)..... আবূ বাক্রা (রা) থেকে বর্ণিত, আমি নবী করীম
(সাঃ)-কে মিম্বরের উপর বলতে শুনেছি, ঐ সময় হাসান (রাঃ) তাঁর পাশে ছিলেন। তিনি একবার উপস্থিত লোকদের দিকে আবার হাসান (রা)-এর দিকে তাকালেন এবং বললেন, আমার এ সন্তান (পৌত্র) সায়্যেদ (নেতা) আল্লাহ্ তা’য়ালা তাঁর মাধ্যমে বিবাদমান দু’দল মুসলমাননের মধ্যে অপোষ মীমাংসা করিয়ে দিবেন।
৩৪৭৫। মুয়াদ্দাদ (র) ..... উসামা ইব্ন যায়েদ (রা) থেকে বর্ণিত, নবী করীম
(সাঃ) তাঁকে এবং হাসান (রাঃ)-কে এক সাথে কোলে তুলে নিয়ে বলতেন, হে আল্লাহ্! আমি এদের দু’জনকে মহব্বত করি, আপনিও এদেরকে মহব্বত করুন। অথবা এরূপ কিছু বলেছেন।
৩৪৭৬। মুহাম্মদ ইব্ন হুসাইন ইব্ন ইব্রাহীম (র) .... আনাস ইব্ন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
উবায়দুল্লাহ ইব্ন যিয়াদের সম্মুখে হুসাইন (রাঃ)-এর (বিচ্ছেদকৃত) মস্তক আনা হল এবং একটি বড় পাত্রে তা রাখা হল। তখন ইব্ন যিয়াদ তাঁর (নাকে মুখে) খুচাতে লাগল এবং তাঁর রূপ লাবণ্য সম্পর্কে কটুক্তি করল। আনাস (রা) বললেন, (নবী করীম (সাঃ)-এর পরিবার বর্গের মধ্যে) হুসাইন (রা) গঠন ও আকৃতিতে নবী করীম
(সাঃ)-এর আবয়বের সর্বাধিক সাদৃশ্যপূর্ণ ছিলেন। (শাহাদত বরণকালে) তাঁর চুল ও দাঁড়িতে ওয়াসমা (এক প্রকার পাতার রস) দ্বারা কলপ লাগনো ছিল।
৩৪৭৭। হাজ্জাজ ইব্ন মিনহাল (র) ..... বারা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হাসানকে নবী করীম (সাঃ)-এর কাঁধের উপর দেখেছি। তখন তিনি (সাঃ) বলেছিলেন, হে আল্লাহ্! আমি একে ভালবাসি, তুমিও তাকে ভালবাস।
৩৪৭৮। আবদান (র) ..... উক্বা হারিস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
আমি আবূ বক্র (রা)-কে দেখলাম, তিনি হাসান (রা)-কে কোলে তুলে নিলেন এবং বলতে লাগলেন, এ-ত নবী করীম (সাঃ)-এর সাদৃশ, আলীর সাদৃশ নয়। তখন আলী (রা) (নিকটেই দাঁড়িয়ে) হাঁসছিলেন।
৩৪৭৯। ইয়াহ্ইয়া ইব্ন মায়ীন ও সাদাকা (র) ..... ইব্ন উমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবূ বকর (রা) বললেন, মুহাম্মদ (সাঃ)-এর সন্তুষ্টি তাঁর পরিবারবর্গের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে অর্জন কর।
৩৪৮০। ইয়াহ্ইয়া ইব্ন মূসা ..... আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ)-এর পরিবারে হাসান ইব্ন আলী (রা)-এর চেয়ে নবী করীম (সাঃ)-এর অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ আর কেউ ছিলেন না। আবদুর রায্যাক (র) ..... আনাস (রা) থেকে অনুরূপ বর্ণিত।
৩৪৮১। মুহাম্মদ ইব্ন বাশশার (র) ..... আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রা) থেকে বর্ণিত যে, তাকে ইরাকের জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, ইহ্রামের অবস্থায় মশা-মাছি মারা জায়েয আছে কি? তিনি বললেন, ইরাকবাসী মশা-মাছি মারা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে অথচ তারা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নাতীকে হত্যা করেছে। নবী করীম
(সাঃ) বলতেন, হাসান ও হুসাইন (রা) আমার কাছে দুনিয়ার দু’টি পুষ্প বিশেষ।
৩৪৬৭। মূসা ইব্ন ইসমাঈল (র) .... উসামা ইব্ন যায়েদ (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বর্ণনা করেন নবী করীম (সাঃ) তাঁকে এবং হাসান (রাঃ)-কে এক সাথে (কোলে) তুলে নিতেন এবং বলতেন, হে আল্লাহ্! তুমি এদেরকে ভালবাস। আমিও এদেরকে ভালবাসি। মু’আইয (র) উসামা (রা)-এর আযাদকৃত গোলাম (হারমালা ) (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন সে আবদুল্লাহ ইব্ন উমরের (র) এর সঙ্গে ছিল। তখন (উসামা (রা) এর বৈপিত্রীয়) ভাই হাজ্জাজ ইব্ন আয়মান (মস্জিদে) প্রবেশ করল,
এবং সালাতে রুকু ও সিজদা পূর্ণভাবে আদায় করেনি। ইব্ন উমর (রা)
তাকে বললেন, সালাত পুনরায় আদায় কর। যখন সে চলে গেল তখন ইব্ন উমর (রা) আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, এ ব্যক্তি কে?
আমি বললাম, হাজ্জাজ ইব্ন আয়মন ইব্ন ইম্মে আয়মান। ইব্ন উমর
(রা) বললেন, রাসূল্লুল্লাহু (সাঃ) যদি তাকে দেখতেন তবে স্নেহ করতেন। তারপর এ পরিবারের প্রতি রাসূলুল্লাহু (সাঃ)-এর কত ভালবাসা ছিল তা বর্ণনা করতে লাগলেন এবং উম্মে আয়মানের সন্তানদের কথা বললেন। আবু আবদুল্লাহ (র) বলেন আমার কোন কোন সাথী আরো বলেছেন যে উম্মে আয়মান (র) নবী করীম (সাঃ)-কে শিশুকালে কোলে নিয়েছেন। হাজ্জাজ ইব্ন আয়মন ইব্ন উম্মে আয়মান (র) আর আয়মান ছিলেন উসামা (র) এ বৈপিত্রীয় ভাই হাজ্জাজ হলেন এক আন্সারী ব্যক্তি। ইব্ন উমর
(রা) তাকে দেখলেন যে সে সালাতে রুকু সিজদা পূর্ণভাবে আদায় করেছেন না। তখন তিনি তাকে বললেন, পুনরায় সালাত আদায় কার। আবূ আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী (র)) বলেন সুলায়মান ইব্ন আবদুর রহমান (রা) .... হারমালা (র) থেকে বর্ণিত, তিনি ছিলেন নবী করীম (সাঃ)-এর ধাত্রী।
বুখারী শরীফ
ষষ্ঠ খন্ড
আবূ ‘আবদুল্লাহ্ মুহাম্মদ ইব্ন ইসমা‘ঈল আল- বুখারী আল-জু‘ফী (র)
সম্পাদনা পরিষদ কর্তৃৃক সম্পাদিত
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
No comments