Banners

মা ফাতেমা (রাঃ) মর্যাদা সমূহে। Mother Fatima (RA) in dignity.

২০৯১। পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিকট আত্মীয়দের মর্যাদা এবং ফাতিমা (রা) বিন্‌তে নবী (সাঃ)-এর মর্যাদা। নবী (সাঃ) বলেছেন, ফাতিমা (রাঃ) জান্নাতবাসী মহিলাগণের সরদার

পাকপাঞ্জাতন, বুখারী শরীফ, মা ফাতিমা, জান্নাতী মহিলাগণের সরদার, মা৩৪৪৬। আবুল ইয়ামান (র) .. আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবূ বকর (রা) এর নিকট ফাতিমা (রা) নবী করীম (সাঃ) থেকে তাঁর উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অংশ দাবী করলেন যা আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁকে বিনাযুদ্ধে দান করেছিলেন, যা তিনি সাদ্‌কা স্বরূপ মদীনা, ফাদাকে রেখে গিয়েছিলেন এবং খায়বারের এক-পঞ্চামাংশ হতে যে অবশিষ্ট ছিল তাও। আবূ কবর (রা) (তার উত্তরে) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, আমাদের (নবীগণের মালের ওয়ারিস কেউ হয় না। আমরা যা কিছু রেখে যাই তা সবই সাদ্‌কা। মুহাম্মদ (সাঃ)-এর পরিবারবর্গ এ মাল থেকে অর্থাৎ আল্লাহ্‌র মাল থেকে খেতে পারবে। তবে (আহারের জন্য) প্রয়োজনের অধিক নিতে পারবে না। আল্লাহ্‌র কসম, আমি নবী করীম (সাঃ)-এর পরিত্যক্ত মালে তাঁর যুগে যেমন নিয় ছিল তার পরিবর্তন করব না। আমি অবশ্যই তা করব যা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)  করে গেছেন। এরপর আলী (রা) শাহাদত (হামদ-সানা) পাঠ করে বললেন, হে আবূ বকর! আমরা আপনার মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে অবহিত এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সাথে তাঁদের আত্মীয়তা ও ঘনিষ্ঠতা রয়েছে তা এবং তাঁদের অধিকারের কথাও উল্লেখ করলেন। আবূ বকর (রা) ও এ বিষয়ে উল্লেখ করে বললেন, আল্লাহ্‌র কসম! যাঁর হাতে আমার প্রাণ, আমার আত্মীয়দের সাথে সদাচরণ করার চেয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর আত্মীয় সাথে সদাচরণ করা আমি অধিক পছন্দ করি।

৩৪৪৭। আবদুল্লাহ ইব্‌ন আবদুল ওয়াহহাব (র) ……. আবূ বকর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর পরিবারবর্গের প্রতি তোমরা অধিক সম্মান দেখাবে।

৩৪৪৮ আবু ওয়ালিদ ()..... মিসওয়ার ইব্ন মাখরামা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল (সাঃ) বলেন, ফাতিমা আমার (দেহের) টুকরা যে তাঁকে কষ্ট দিবে সে যে আমাকে কষ্ট দিল

৩৪৪৯ ইয়াহ্ইয়া ইব্ন কাযা ()...... আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (সাঃ) ওফাতের সময় যে রোগে আক্রান্ত হন তখন তাঁর কন্যা ফাতিমা (রা) যে ডেকে পাঠালেন (তিনি আসলে) চুপিচুপি কি যেন তাঁকে বললেন, তিনি এতে কাঁদতে লাগলেন তারপর তিনি তাঁকে ডেকে পুনরায় চুপিচুপি কি যেন বললেন, এবার তিনি হাসতে লাগলেন আমি তাঁকে (হাসি-কান্নার) কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, নবী করীম (সাঃ) আমাকে জানালেন যে, তিনি রোগে ওফাত লাভ করবেন, এতে আমি কাঁদতে শুরু করি এরপর তিনি চুপেচুপে বললেন,আমি তাঁর পরিবার বর্গের মধ্যে সর্বপ্রথম তাঁর সাথে মিলিত হব, তখব আমি হাসতে শুরু করি

২১০৯। পরিচ্ছেদঃ ফাতিমা (রা)-এর মর্যাদা। নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, ফাতিমা (রা) জান্নাতবাসী মহিলাদের নেত্রী
৩৪৯৫ আবুল ওয়ালীদ () ..... মিসওয়ার ইব্ মাখরামা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ফাতিমা আমার (দেহের) অংশ যে তাঁকে অসন্তুষ্ট করল সে আমাকেই অসুন্তুষ্ট করল

৩৪৯৬। ইয়াহ্ইয়া ইব্‌ন কাযা ()...... আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (সাঃ) ওফাতের সময় যে রোগে আক্রান্ত হন তখন তাঁর কন্যা ফাতিমা (রা) যে ডেকে আনলেন  এবং তার সাথে চুপে চুপে কিছু বললেন। এতে ফাতিমা (রাঃ) কেঁদে দিলেন। এরপর আবার কাছে ডেকে এনে চুপে চুপে কিছু বললেন। এতে তিনি হেসে দিলেন। আয়েশা (রা) বলেন, আমি এ ব্যাপারে ফাতিমা (রা)-কে জিজ্ঞাসা। তখন তিনি বললেন, নবী করীম (সাঃ) চুপে চুপে অবহিত করলেন যে তিনি এ রোগে ওফাত লাভ করবেন। এতে আমি কেঁদে দিলাম। তারপর আবার আমাকে চুপে চুপে জানালেন যে আমি তাঁর পরিবার পরিজনের প্রথম ব্যক্তি যে তাঁর সাথে মিলিত হব। এতে আমি হেসে দিলাম।

বুখারী শরীফ
ষষ্ঠ খন্ড
আবূ ‘আবদুল্লাহ্ মুহাম্মদ ইব্‌ন ইসমা‘ঈল আল- বুখারী আল-জু‘ফী (র)
সম্পাদনা পরিষদ কর্তৃৃক সম্পাদিত
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

No comments

Powered by Blogger.