রাসূলে পাক (সাঃ) –এর খাদ্যাভ্যাস
খাদ্যাভ্যাস

১. দুধ ও মাছ কখনও এক সঙ্গে খেতেন না।
২. দুধও টক জিনিস কখনও একত্রে খেতেন না।
৩. দুটি গরম খাদ্য, দুটি ঠাণ্ডা খাদ্য, দুটি চর্বিযুক্ত খাদ্য, দুটি আঠালো খাদ্য, দুটি নরম খাদ্য, দুটি শক্ত খাদ্য একত্রে খেতেন না।
৪. এমন দুটি জিনি একত্রে খেতেন না যা একই স্বভাব বা মেজাজ বা প্রকৃতিতে পরিণত হবে।
অর্থাৎ উষ্ণ-শুষ্ক মেজাজের যে কোন খাদ্যের সহিত অন্য আরেকটি উষ্ণ-শুষ্ক মেজাজের খাদ্য গ্রহণ করিতেন না। কারণ উভয় খাদ্য গ্রহণে শরীরের মেজাজ বা প্রকৃতি দ্বিগুণ উষ্ণ-শুষ্ক প্রকৃতির হয়ে যাবে। এতে শরীর মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে যাবে বরং রাসূল পাক (সাঃ) উষ্ণ-প্রকৃতির খাদ্যের সঙ্গে উহার বিপরতে ধর্মের প্রকৃতি বা মেজাজের খাদ্য যেমন- শীতল-আর্দ্র প্রকৃতির খাদ্যা গ্রহণ করতেন। এতে শরীরে উভয় খা্যের তাপমাত্রা ব্যালেন্স বা সুষম করত। ফলে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক ক্রিয়াসমূহ সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়।
বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিকারী কোন জিনিসও একত্রে খেতেন না। যেমন- একটা আঠাল খাদ্য এবং এক নরম খাদ্র; একটি দ্রুত হজম সম্পন্ন এবং অন্যটি দেরীতে হজমসম্পন্ন খাদ্য এক সঙ্গে খেতেন না।
আবার ভুনা এবং রান্না খাদ্য, টাটকা এবং বাসী খাদ্য একত্রে খেতেন না (যাদুল মা’আদঃ খণ্ড ঃ ২)
রাসূলে পাক (সাঃ) –এর পরিত্যাজ্য খাদ্যসমুহঃ
১. রাসূলে পাক (সাঃ) অত্যাধিক গরম জিনিস খেতেন না।
২. রাসূলে পাক (সাঃ) যে কোন প্রকার দুর্গন্ধযুক্ত খাদ্য পছন্দ করতেন না, এবং চটপটি জাতীয় খাদ্য (যেমন-চাঁটনী) পছন্দ করতেন না।
৩. রাত্রের রান্না (বাসী) পারের দিন খেতেন না। (যাদুল মা’আদ)।
সংগ্রহঃ বিশ্বনবী'র (সাঃ) চিকিৎসা বিধান, ডাঃ আলমগীর মতি
সংগ্রহঃ বিশ্বনবী'র (সাঃ) চিকিৎসা বিধান, ডাঃ আলমগীর মতি
No comments