খেঁজুর ভক্ষণে কামশক্তি ও শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি পায়।
খেঁজুর
কোরআনে আল্লাহ পাক এরশাদ করেন, “আমি জমিনে উৎপন্ন করেছি শস্য আঙ্গুর, শাক-সব্জি, যাইতুন ও খেজুর বৃক্ষ।” (সূরা আবাসাঃ আয়াত ২৭-২৯)
আরো এরশাদ করেন, “খেঁজুর ও আঙ্গুর ফল থেকে তোমরা সাকার ও উত্তম খাদ্য তৈরী কর।নিঃসন্দেহে বুদ্ধিমান লোকদের জন্য এতে নির্দশন রয়েছে।” (সূরা নাহল, আয়াতঃ ৬৭)
এছাড়া সূরা আনআমের নিরানব্বই নম্বর আয়াত এবং সূরা মরিয়মের তেইশ নম্বর আয়াতেও খেঁজুর এবং খেঁজুরের উপকারীতা বর্ণনা হয়েছে।
খেঁজুর ও মাখন
বুসরা সুলামী (রাঃ)- এর দুই পুত্র আতিয়া (রাঃ) এবং আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তাঁরা বলেন, “আমাদের নিকট রাসূলে পাক (সাঃ) তাশরীফ আনলেন। আমরা রাসূলে পাক (সাঃ)-এর সামনে তাজা খেঁজুর এবং মাখন রাখলাম। রাসূলে পাক (সাঃ) মাখন এবং তাজা খেঁজুর পছন্দ করতেন। (মিশকাত শরীফ, যাদুল মা-আদ, ৩য় খণ্ড)
খেঁজুর সম্পর্কিত কিছু মূল্যবান উদ্ধতি
খেঁজুরের সাথে যৌন শক্তির বিশেষ সর্ম্পক রয়েছে। সেজন্য আকদ এবং বিয়ের সময় খেঁজুর ছিটানোর প্রাচীন পদ্ধতি চলে আসছে।শুষ্ক খেঁজুর চুষলে পিপাসা নিবারণ হয়। এজন্য অধিকাংশ হালুয়া ও কাষ্টারে এর ব্যবহারে হয়ে থাকে।প্রসূতি মায়েদের জন্য তাজা খেঁজুরের চেয়ে উত্তম কোন পথ্য হতে পারে না। আল্লাহ তা’য়ালা হযরত মরইয়ম (আঃ)-কে ইশা (আঃ)-এর জন্মের সময় খেঁজুর খাইয়েছিলেন। এ সম্পর্কে কোরআন পাকে এরশাদ হয়েছে-
“খেজুরের শাখা নিজের কাছে টেনে নাও না। তোমার উপর তাজা পাকা খেঁজুরগুলো পড়তে থাকবে।” (সূরা মরিয়ম)
খেঁজুর শরীরের শিরার কোমলতা সৃষ্ট ব্যথা উপশম করে থাকে।
আবু নঈম (রাহঃ) “কিতাবুল তিব্ব”-এ লিখেছেন যে রাসূলে পাক (সাঃ)- এর কাছে মাখন মিশ্রিত খেঁজুর অত্যাধিক প্রিয় ছিলো।
ওলামায়ে কেরামগণ লিখেছেন, খেঁজুর ভক্ষণে কামশক্তি বৃদ্ধি পায়, শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। কণ্ঠস্বর পরিষ্কার হয়। (তিব্বে নব্বী)
খেঁজুরের অন্যান্য উপকারীতা
ভেষজ চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, খেঁজুরের প্রথম উপকার হলো অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ইহা ব্যবহৃত হয়।ইহা হৃদযন্ত্রের দূর্বলতায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। রুচিবর্ধক। স্নায়ুবিক শক্তিবর্ধক। ইহা রক্তবর্ধক। হৃদযন্ত্রের দূর্বরতায় ইহা বিশেষ উপকারী।
সংগ্রহঃ বিশ্বনবী'র (সাঃ)
চিকিৎসা বিধান, ডাঃ আলমগীর মতি
No comments