Banners

হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ)-এর জন্ম ও বংশ পরিচয় এবং বাল্যকাল ও শিক্ষা জীবন


হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ)-এর জন্ম ও বংশ পরিচয়
হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ)-এর জম্নস্থান সম্বন্ধে সামান্য একটু মতভেদ  আছে কেননা কেউ কেউ বলেছেন যে,  তাঁর জন্মস্থান ক্বরণ নয় বরং তাঁর দাদার নাম  ছিল  ক্বরণ এবং বাবার নাম  ছিল আবদুল্লাহ  ক্বরণী, সে  জন্যই তাঁর নামের  শেষেও  ক্বরণী যুক্ত হয়েছে। তবে তিনি ইয়ামন প্রদেশেই জন্ম গ্রহণ করেছেন, তাতে কারও দ্বিব-মত নেই।
বিভিন্ন হাদিসের পর্য়ালোচনা দিয়ে এটিই সাব্যস্ত হয়েছে যে, ইয়ামন প্রদেশের  অন্তর্গত কুফা নগরীর সন্নিকস্থ ক্বরণ  নামক  গ্রামে হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ) জন্ম  গ্রহণ করেন। এই ক্বরণ  একটি বিখ্যাত গ্রাম। এখানেই  নজ্‌দ্‌বাসী হাজীদের  জন্য  হজ্জের এহরাম  বাঁধার মীক্বাত।

উল্লেখ আছে যে, ঔ গ্রামে সর্বপ্রথম ভিত্তি স্থাপনের সময় মাটির  নিম্ন থেকে খুব বড় একটি গাভীর শিং পাওয়া গিয়েছিল। আরবি ভাষায় শিং-কে ‘ক্বরণ’ বলা হয়, সে সুত্রেই ঐ গ্রামের নাম রাখা হয়েছিল ‘ক্বরণ’। হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ) ঐ গ্রামের  আধিবাসী ছিলেন বলে তাঁর নামের শেষে ক্বরণী যুক্ত হয়েছে।

হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ)-এর প্রকৃত নাম ছিল ওয়ায়েস এবং কুনিয়াত ছিল আবু আবু আমর। তাঁর বাবার নাম ছিল আবদুল্লাহ আমর এবং দাদার নাম বাদার।


সুবিখ্যাত হাদিস মেশকাত শরীফের শরাহ্‌ মেরকাত কিতাবে উল্লেখিত আছে যে, হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন, আমার  উম্মতের মধ্যে এমন একটি ব্যক্তি আছে যে, সে  বনী রবিয়া ও বনী মোজার বংশের মেষপালের পশমের সমসংখ্যক আমার গোনাহ্‌গার  উম্মতের জন্য সাফায়াত করবেন। তাঁর নাম  ওয়য়েস  ইবনে আবদুল্লাহ্‌ আল-ক্বরণী (রহঃ)।


বাল্যকাল ও শিক্ষা জীবন
হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ)-এর বাবা ছিলেন সুশিকি্‌ষত  ও ধার্মিক ব্যক্তি। তিনি  পুত্রের পাঁচ  বছর বয়ঃক্রমকাল সর্বপ্রথম তাঁর তাতে খড়ি দেন। তারপর তিনি নিজেই পুত্রকে আরবি ভাষা শিক্ষা  তে  থাকেন তাঁর জননী ছিলেন একজন বিদূষী রমণী। বাবা-মার যত্নে মাত্র তিন বছরের  মাঝে  হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ)  আরবি ভাষা লিখতে ও পড়তে শিক্ষা করেন। স্মরণ শক্তি তাঁর অত্যন্ত প্রখর, সেজন্য অন্যান্য বালক ছয়-সাত বছরে যা শিখতে পারেনি, তিনি মাত্র  তিন বছরেই তা শিখেছিলেন।


বাল্যকাল থেকেই হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ) ছিলেন শান্ত-শিষ্ট ও ভাবুক প্রকৃতির ছেলে। তিনি কখনও পাড়ার বাজে ছেলে মেয়েদের সাথে মিশতেন না এবং খেলাধুলায় বা বাজে  গল্পগুজরেব সময় নষ্ট করতেন না। সব সময় বিশেষ মনযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতেন এবং অবসর সময়ে নির্জনে বসে চিন্তা করতেন।

হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ)-এর বয়স যখন নয় তখন আবদুল্লাহ ক্বরণী পুত্রকে ধর্মীয় বিদ্যায় পারদর্শী করে তোলার  উদ্দেশ্যে একজন উচ্চশিক্ষিত  ইহুদী ধর্মযাজকের হাতে সমর্পণ করেন, কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের বিষয় এই যে সেই বছরের হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ)-এর বাবা মৃত্যুর মুখে পতিত হন।

আবদুল্লাহ ক্বরণীর সাংসারিক অবস্থা মোটেই ভাল ছিল না, ক্ষুদ্র একটি কাপড়ের দোকানের সামান্য আয়  দিয়ে তিনি দুঃখ-কষ্টে  সংসার চালাতেন। কাজেই তাঁর মৃত্যুর পর সংসারে দারুন অভাব দেখা দিল।

হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ)-এর জননী তবুও অনেক দঃখ-কষ্ট সহ্য করে  পুত্রকে এক বছর লেখাপড়ায় নিযুক্ত  রেখেছিলেন। তারপর নিতান্ত নিরুপায় হয়ে  তিনি পুত্রের লেখাপড়া বন্ধ করে দোকান দেখাশুনা  করার কাজে নিযুক্ত করলেন।  হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ) নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও মার আদেশ অনুযায়ী লেখাপড়া শিক্ষার আশা পরিত্যাগ করে বাবার কাপড়ের দোকানে চালাতে থাকেন।

দোকানের কাজে লিপ্ত থাকায় ওস্তাদের  কাছে  যেয়ে লেখাপড়া করতে না পারলেও তিনি পড়াশুনা একেবারে পরিত্যাগ করেননি। দোকানে বসেই তিনি অনেক ধর্ম গ্রন্থ অধ্যায়ন করে গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।

দোকানের সামান্য আয় দিয়ে মা-পুত্রের দিনগুলো কোনভাবে কাটছিল,  কিন্তু পরম করুণাময় আল্লাহ্ তায়ালার ইচ্ছে ছিল অন্যরূপ, সেজন্য তিনি হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ)-এর জীবন যাপর ধারা সম্পূর্ণ পরিবর্তন করেছিলেন।
একদিন  রাতে তাঁর দোকানে  চুরি হয়ে যা কিছু ছিল তার সব কিছু চুরি হলো, মা-ছেলের জীবন-যাপনের যে সামান্য উপলক্ষ্য ছিল, তা সম্পূর্ণ নিঃশেষ হয়ে গেল।হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ)-এর মা চতুর্দিকে অন্ধকার দেখতে লাগলেন।
হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ) এই বিপদে পড়েও কোনরকম চিন্তিত, দুঃখিত বা বিচলিত হলেন না,  বরং তিনি মাকে  সান্ত্বনা দেয়  বললেন, আল্লাহ্‌ পরম দাতা ও খুব দয়ালু।  তিনি যা কিছু করেন, ত তাঁর বান্দার মঙ্গলের জন্যই করে থাকেন। তিনি নিজে মঙ্গলময় একং তাঁর  প্রত্যেকটি কাজের মধ্যে  কোন না কোন মঙ্গল নিহিত থাকেন। আমাদের এ বিপদের  মধ্যেও আমাদের জন্য আল্লাহ্‌র কোন  মঙ্গল উদ্দেশ্য নিহিত আছে।

মহান আল্লাহ্‌ ওপরে হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ)-এর অটল বিশ্বাস ও অগাধ  ভক্তি জন্মেছিল বাল্যকাল থেকেই।


হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ) প্রতিবেশির মধ্যেই এক ধনী ব্যক্তির কাছে বিরাট একটি মেষের  পাল ছিল। অনেক চেষ্টা করে হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ) তার মেষ চরানেরা চাকরি  নিলেন। এ কাজের বেতন দিয়ে দুঃখ-কষ্টে মা-ছেলের দিন কেটে যেতে লাগল।

ইসলামিক জ্ঞান, ওলীদের জীবনী, ইসলামিক গল্প, ওয়ায়েজ ক্বরনী, নবীর প্রেমিকহযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ)-এর মনে মোটেই  শান্তি ছিল না, কিসের যেন একটি দারুন চিন্তায় তিনি সব সময় অশান্তির অনুভব করতেন। সব সময় পুত্রের বিমর্ষ  ভাব লক্ষ্য করে মা’ও দুঃখিতা হতেন, কিন্তু তবুও সেটাকে তেমন গুরুত্ব দিতেন না, তিনি মনে মনে ধারণা করতেন যে, সংসারের অভাব-অভিযোগ ও অস্বচ্ছলতার জন্যই  হয়তো তাঁর  পুত্র সব সময় এমন চিন্তিত ও দুঃখিত হয়ে থাকে, কিন্তু আসল কারণ তা ছিল না। কি এক অজ্ঞাত অতৃপ্ত বাসনা তাঁর  মনের মধ্যে  উদিত হয়ে সব সময় তাঁকে পাগল করে রাখতো। তিনি  মিষ চরাতে যেয়ে মাছের মাঝে মেষের পাল ছেড়ে  দিয়ে জঙ্গলের ধারে গাছের  ছায়ায় বিশ্রাম করতেন এবং সেই অবসরে গভীরভাবে একাগ্র  মনে কি যেন চিন্তা করতেন।

এভাবেই কিছুদিন কেটে গেল।

একদিন তিনি মেষের পাল মাঠে ছেড়ে দিয়ে  উদ্দেশ্যবিনহী ও অন্যমনস্তভাবেই ভ্রমন করতে থাকেন জঙ্গলের মধ্যে মনের শান্তির জন্য। মন তাঁর বড় অশান্ত  কিন্তু কিন্তু কি যে তাঁর মন চায় তা তিনি নিজেই বুঝতে পারেন না।
হঠাৎ জঙ্গলের মধ্যে তিনি সাক্ষাত পেলেন একজন সাধু পুরুষের। তিনি এগিয়ে  গেলেন সে সাধু পুরুষের দিকে অদম্য কৌতূহর নিয়ে-কে এই সাধু পুরুষ।

হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ) তাঁর কাছে যেতেই তাঁর ধ্যান ভঙ্গ হয়ে গেল, তিনি কর্কশ স্বরে প্রশ্ন করলেন, কে তুমি? কি চাও এখানে?

হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ) সংক্ষেপে তাঁর নিজের পরিচয় দিয়ে তাঁর মনের অশান্তির কথা সাধুপুরুষের কাছে খুলে বললেন।

অনেকক্ষণ  জঙ্গলবাসী দরবেশের  সাথে হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ)-এর আলাপ আলোচনা চললো। কি যেন এক অপূর্ব আনন্দ পেলেন তিনি দরবেশের সাথে আপাল করে।  তাঁর মনের ভার কেটে যেয়ে মন অনেকটা হাল্‌কা হয়ে গেল-প্রাণে এল এক অপূর্ব শান্তি।

তারপর সন্তুষ্ট চিত্তে তিনি দরবেশের কাছ থেকে বিদায় নিলেন।

দরবেশ সাহেবও হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ)-এর সাথে আপাল করে অত্যন্ত খুশি হলেন। বিদায়কারৈ তাঁকে আদেশ করলেন, অবসর পেলেই এখানে চলে এসো, আমাকে সব সময় এখানেই পাবে, কিন্তু সাবধান! অন্য  কাউকও সাথে নিয়ে এসো না এবং কারও কাছে আমার কথা বলো না।

যুবক হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ) মাথা নেড়ে সম্মতি জানিয়ে দরবেশকে সালাম করে সেদিকার  মতো মত  বিদায়  নিলেন।

মনের একটি অশান্তি দূর হবার  সাথে সাথেই  হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ)- এর মনের সাথে আর একটি অশান্তি মাথাচাড়া দিয়ে জেগে উঠলো।

সে অশান্তির কারণ আর কিছুই নয়, জঙ্গলবাসী দরবেশের সঙ্গ লাভ ও তাঁর সাথে  আলাপ-আলোচনার অতৃপ্ত বাসনা এবং  সেই বাসনা পূরণ করার প্রতিবন্ধকতা তাঁর মেষ চড়ানোর দায়িত্ব।


পরদিন আবার তিনি মেষের পাল নিয়ে চলে গেলেন সেই জঙ্গলের ধারে মাঠের দিকে।
মেষের পালকে মাঠে ছেড়ে দিয়ে চরে গেলেন গভীর জঙ্গলে, সেই দরবেশের আস্তানায়। অনেকক্ষণ আলোচনা চললো তাঁর সেই দরবেশের সাথে।

এতদিন পরে যে একটি অমৃতের সন্ধান পেয়েছেন। দরবেশ সাহেবেরও মনে  হয়,  এতদিন পরে আমি একটি মানুষের সন্ধান পেয়েছি, যাহো আমি মন্ত্রে দীক্ষিত করতে পারি।

প্রতিদিনই হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ) যাতায়াত করতে  থাকেন দরবেশের আস্তানায়, আর মনোযোগ দিয়ে শুনতে থাকেন দরবেশের মূল্যবান উপদেশ ও অমৃতময়  বাণী।

ক্রমেই হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ) বাঁধা পড়ে যান সেই দরবেশের  স্নেহের বন্ধনে। এখন একটি দিনও তাঁর  আস্তানার না গেলে আর চলে না, আর একবার  সেখানে গেলে  উঠে আসার  কথাটাও তাঁর মনে থাকে না।

এখন মেষ চড়ানোর দিকে তাঁর লক্ষ্য নেই, মেষপালের কথা তাঁর মনেই থাকে না। তন্ময় হয়ে যান তিনি দরবেশের কথা শুনতে শুনতে। দুনিয়ার কোন কিছুর কথাই তাঁর স্মরণ থাকে না, যতক্ষণ তিনি দরবেশের কাছে  অবস্থান করেন। দরবেশ  সাহেব ও তাঁকে তাড়া দিয়ে উঠিয়ে দেন, যাও এখন তোমার মেষপালের তত্ত্বাবধান কর। নিতান্তই অনিচ্ছা সত্ত্বেই তিনি উঠে যান দরবেশের সাহেরেব আদেশে।

হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ)-এর শৈথিল্যের জন্য প্রত্যেক দিনই পালের দুই চারটি  করে  মেষ হারিয়ে যেতে থাকে। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি মালিকের অপ্রিয় হয়ে উঠেন। অবশেষে  মালিক তাঁকে  চাকরি থেকে বিদায় দিয়ে দেন।
হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রহঃ) চাকরী যাওয়ার মোটেও দুঃখিত  হলেন না,  বরং তিনি ভাবলেন, ভালই হলো, একটি চিন্তার বোঝা ঘাড় থেকে নেমে গলো।  এখন সারাদিনন দরবেশের কাছে  বসে  তাঁর অমূল্য বাণী শুনব। কি হবে সংসার দিয়ে, সংসার ত্যাগ করে দরবেশের সাথে সঙ্গলেই বাস করব। বনের ফল-মূল খাব আর দরবেশের অমৃতময় বাণী শুনব।

তিনি আবার ভাবেন না, তা কেমন করে হবে? নিজের জন্য চিন্তা করি না, কিন্তু মা? মার উপায় কি হবে? কে তাঁকে দেখাশুনা করবে?

অনেক চিন্তার পর সিন্ধান্তে ঠিক করে ফেলেন তিনি, মাকে নিয়েই চলে আসব এই জঙ্গলে। জঙ্গলের ভেতরে একখানা কুঁড়েঘর নির্মাণ করে মাকে নিয়ে এখানেই বাস করব।

বাবার বিষয়-সম্পত্তি তো কিছুই ছিল না, ছিল মাত্র একখানা বাড়ি। তিনি বাড়িখানা বিক্রয় করে মাকে নিয়ে চলে এলেন জঙ্গলে।  সেখানে একখানা কুঁড়েঘড় নির্মাণ করে মাকে নিয়ে বসবাস  করতে লাগলেন।
বাড়ি বিক্রিত টাকা দিয়ে কিনলেন একটি দুধ ওয়ালা উট। সেই উটের দুধেই মা-পুত্রের জীবন চলতে থাকে। সকালে বিকালে জঙ্গলের  ধানে মাঠের মধ্যে তিনি  উট চরান আর বেশির  ভাগ সময় কাটান তিনি দরবেশের সংশ্রবে। এভাবেই দিন যেতে থাকে।

হযরত ওয়ায়েস ক্বরণী (রাঃ)-এর মা’ও ছিলেন পরম ধার্মিক রমণী। লোকালয় ত্যাগ করে জঙ্গলে এসে বাস করায় তিনিও অত্যন্ত খুশিই হলেন এবং দিনরাত আল্লাহর ইবাদন বন্দেগীতে অতিবাহিত করতে লাগলেন।


সম্পাদনায়ঃ মুহাম্মদ ‍নূর ‍উললাহ আযাদ (এম.এম)
প্রাক্তন অনুবাদক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

No comments

Powered by Blogger.