Banners

সুস্বাস্থ্য রক্ষার্থে করণীয় কিছু টিপস

সুস্বাস্থ্য রক্ষার্থে যা করণীয়

মাসিকের পর স্ত্রী সহবাস করার নিয়মাবলীঃ

ইমাম দারুল হিজরাহ ইমাম মালেক (রহঃ), ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এবং ইমাম আহমদ (রহঃ)-এর মতে গোসল অথবা তায়াম্মুম করে নিলে সহবাস করা বৈধ হয়।

সহবাসের ‍উত্তম সময়, সহবাসের কল্যাণকর, সহবাস নিষেধ, সহবাসের পদ্ধতি, স্বাস্থ্য, ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)-এর মতে মাসিক স্রাবের নিম্ন মেয়াদ কমপক্ষে তিনদিন এবং উর্দ্ধ মেয়াদ দশদিন। যদি রক্ত বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর স্ত্রী গোসল করে নেয় অথবা একটি ফরজ নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যায়, তাহলে তার সাথে সহবাস করা বৈধ। আর দশদিনের সমাপ্তির পরপরৈই সহবাস বৈধ। তবে গোসলের পরেই উত্তম।

ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)- এর মতে ঋতু স্রাবের সর্বোচ্চ মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গোসল করার পূর্বে সহবাস না জায়েয। যেহেতু কোরান পাকে  এর নিষিদ্ধতা প্রমাণ হয়।


সহবাসের উত্তম সময়


ফেকাহ গবেষক আবু লাইস (রহঃ) তাঁর বুস্তান গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন, সহবাসের সর্বোত্তম সময় হচ্ছে রাত্রের শেষ ভাগ। কারণ রাত্রের শুরুভাগে পেট আহারাদী দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে।

সহবাসের ‍উত্তম সময়, সহবাসের কল্যাণকর, সহবাস নিষেধ, সহবাসের পদ্ধতি, স্বাস্থ্য, হযরত মা আয়েশা (রাঃ)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) তাঁর “এহওয়াউল উলম” নামক গ্রন্থে লিখেছেন, রাসূলে পাক (সাঃ) শেষ রাতে বেতেরের নামাজ আদায় করে অবসর হওয়ার পর সহবাসের প্রয়োজন হলে তা সেরে নিতেন, নতুবা অত্র জায়নামাজেই শয়ন করতেন। হযরত বেলার (রাঃ) এসে রাসূলে পাক (সাঃ)-কে ফজরের নামাজের জন্য আহ্বান করতেন।

ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)- এর মতে, রাত্রের শুরুতে সহবাস মাকরুহ। কারণ সারারাত অপবিত্র অবস্থায় অতিবাহিত করতে হয়।

সহবাসের সর্বোত্তম পদ্ধতিঃ স্ত্রী চিৎ আসনে শায়িত হবে, আর স্বামী তার উপর উপুড় হয়ে উপগত হবে। (সূরা আরাফ, আয়াত নং ১৮৯)


সহবাসের জন্য সে সব রাত্র কল্যাণকর


“ওয়াছায়” নামক গ্রন্থে বর্ণিত আছে-

সোমবার সহবাসে-সন্তান ক্বারী (সহীহ ও সুললিত কণ্ঠের কোরান পাঠক) হয়।

মঙ্গলবার রাত্রে সহবাসে সন্তান দানশীল হয়।

বৃহস্পতিবার রাত্রে সহবাসে লিপ্ত সন্তান আলেম অর্থাৎ (ইসলামী শরীয়ত বিশেষজ্ঞ) এবং আল্লাহর প্রেমিক হয়।

আরা বৃহস্পতিবার দ্বিপ্রহরে পূর্বে সহবাসে লিপ্ত হলে সন্তান আলেম এবং জ্ঞানীরূপে জন্মগ্রহণ করে থাকে। তাকে দেখলে শয়তান পালাতে থাকে।

শুক্রবার দিন জুম্মার পূর্বে সহবাসে লিপ্ত সন্তান নেককার হয়ে জন্মগ্রহণ করে এবং শহীদ হয়ে মৃত্যুবরণ করে।

শুক্রবার রাত্রে সহবাস করলে সন্তান ন্যায় পরায়ন ও নিষ্ঠাবান হয়ে জন্মগ্রহণ করে।


গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদান সময়কালে সহবাস না করাই উত্তম


রাসূলে পাক (সাঃ) এরশাদ করেছেন, “তোমরা নিজ সন্তানদের গুপ্তভাবে হত্যা করবে না, কেননা স্তন্যপানকারী শিশুদের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে শিশুর ক্ষতি হয়ে থাকে। (আবু দাউদ)

অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, “আমার ইচ্ছা হয় যে, স্তন্যপানকারী শিশুদের মাতাদের সাথে সহবাস নিষিদ্ধ করে দেই। কিন্তু পারস্য ও রোম লোকদের ব্যাপারে জানতে পারলাম যে, তারা এ রকমই করে  থাকে কিন্তু শিশুদের কারণে তাদের কোন ধরণের অসুবিধা হয় না।”

উপরোক্ত হাদীস এর দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, স্তন্যদানকালে ঘন ঘন সহবাস থেকে পুরুষদের অবশ্যেই বিরত থাকা উচিত। যদিও গর্ভাবস্থায় এবং সন্তানের দুগ্ধ পান অবস্থায় ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সহবাস করার অনুমতি আছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতেও সহবাস থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়েছে। কারণ এর দ্বারা  প্রসুতি মা শিশুর স্বাস্থ্য হানী ঘটবে।

সংগ্রহঃ বিশ্বনবী'র (সাঃ) চিকিৎসা বিধান, ডাঃ আলমগীর মতি

1 comment:

Powered by Blogger.