নিভিল বিশ্ব সৃষ্টি কিভাবে আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন। How God Created the New World Creation.
নিভিল বিশ্ব সৃষ্টি
তিনি সৃষ্টির সূত্রপাত করলেন একান্তই মৌলিকভাবে- কোন প্রকার প্রতিরূপ ব্যতীত, কোন প্রকার পরীক্ষণ ও পর্যবেক্ষণ ব্যতীত, কোনরূপ বিচলন ব্যতীত এবং ফলাফলের জন্য জন্য কোনরূপ ব্যকুলতা ব্যতীত। সব কিছুকে
তিনি নির্দিষ্ট সময় দিলেন, তাদের বৈচিত্র্যে সামঞ্জস্য বিধান করলেন এবং তাদের বৈশিষ্ট্যকে সুপ্রতিষ্ঠিত করলেন। সৃষ্টির পূর্বেই তিনি সব কিছুর প্রবণতা, জটিলতা, সীমাবদ্ধতা ও দুর্বলতা সম্পর্কে জ্ঞাত ছিলেন।

অতঃপর সর্বশক্তিমান বাতাস সৃষ্টি করে উহাকে নিশ্চল করলেন, উহার অবস্থান স্থায়ী করলেন, উহার গতিতে প্রচন্ডতা দিলেন এবং উহাকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিলেন। তৎপর তিনি বাতাসকে আদেশ করলেন গভীর পানিকে গতিশীল ও জঞ্চল এবং সমুত্র তরঙ্গকে তীব্রতর করার জন্য। ফলে বাতাস দধি তৈরীর মত পানিকে মন্থন করতে লাগলো এবং সজোরে উহাকে মহাশূন্যে এমনভাবে প্রক্ষেপ করলো যাতে সম্মুখ পশ্চাতে ও পশ্চাত সম্মুখে চলে গেলো। এতে ওপরের স্তরে বিপুল ফেনকুঞ্জ সৃষ্টি না
হওয়া পর্যন্ত স্থিরকে অস্থির করে রাখলো। সর্বশক্তিমান তখন ফেনপুঞ্জকে অনন্ত শূন্যে উত্তোলন করে উহা হতে সপ্ত আকাশ সৃষ্টি করলেন যার সর্বনিম্ন স্তর স্ফীত অথচ অনড় এবং ওপরের স্তর আচ্ছাদনের মত বিদ্যামান যেন এক সুউচ্চ বৃহৎ অট্টালিকা যাতে কোন স্তম্ভ নেই অথবা একত্রে জোড়া লাগাবার পেরাক নেই। তখন তিনি উপরের স্তরকে তারকা ও উজ্জ্বল উল্কা দ্বরার সুশোভিত করলেন এবং আবর্তিত আকাশ, চলমান আচ্ছাদন ও ঘূর্ণায়মান নভোমন্ডলে তিনি দেদীপ্যমান সূর্য ও দীপ্তিশীল চন্দ্রকে স্থাপন করলেন।
নাহ্জ আল-বালাগা
মূলঃ আমিরুল মোমেনিন
আলী ইবনে আবি তালিব
সংঙ্কলনঃ আশ-শরীফ আর-রাজী
ইংরেজি অনুবাদঃ
সৈয়দ আলী রেজা
বাংলা অনুবাদঃ
জেহাদুল ইসলাম
No comments