Banners

রাসূলে পাক (সাঃ) কি আংটি ব্যবহার করতেন?

আকীক পাথর, আংটি ব্যবহার, চিকিৎসা বিজ্ঞানে আকীক পাথরের ব্যবহার, স্বাস্থ্য, নবী

আংটি পাথর সম্পর্কিত হাদীস

হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূল করীম (সাঃ)-এর আংটি ছিল রূপার এবং নুগীনা (পাথর) ছিল হাবশী। (শামায়েলে তিরমিযী)
হুজুরে পাক (সাঃ) রূপার আংটি পরিধান করতেন, নগীনা রূপার ছিল। কখনো কখনো আকীক পাথরের নুগীনাও পরতেন। কখনো ডান হতে কখনো বাম হতে পরিধান করতেন। তবে অধিকাংশ সময় ডান হাতে পরতেন এবং নুগীনা হাতের তালুর দিকে রাখতেন। (তানবীরুল আযহার)
হাদীসে উল্লেখ আছে হুজুর (সাঃ) আকীক পাথরের নুগীনা ব্যবহার করছেন তবে একথা সত্য যে তিনি যাবতীয় সমস্যা ও বিপদাপদ দূর হবে আদৌ এমন নিয়তে নুগীনা ব্যবহার করেননি এবং হাসীদের আলেমগনের মতে স্বাভাবিক সৌন্দর্য বিকাশের জন্য নগীনা ব্যবহার করেছেন। বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সূর্যের রশ্মি পাথরের উপর পরলে আরেক প্রকার রশ্মির রূপ নেয়। এই দ্বিতীয় রশ্মি স্বাস্থ্যের পরিপন্থি বা রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কেননা দ্বিতীয় রশ্মি স্নায়বিক নিয়ম তান্ত্রিকতায় খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। তাবে উহার যদি ঠাণ্ডা হয় তবে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। ব্যতিক্রম হলে শরীরের উপর সর্বদা ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। পাথর সম্পর্কে সাধারণ লোকেরা যা বলে তা কাল্পনিক কাহিনীর মত। তবে আধুনিক বিজ্ঞান উহার উপকারিতা সম্পর্কে অধিক অবগত। উল্লেখ্য এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও রোগের উপকারিতা পর্যন্ত সীমিত। ইহা ব্যাতীত ভাগ্য পরিবর্তন মামলার জেতা, রাতারাতি কোটিপতি হওয়া ইত্যাদি অসম্ভব, কাল্পনিক, মিথ্যা ও প্রতারণা ব্যতীত আর কিছুই নেই।

আকীক পাথর

আকীক  একটি সুন্দর আকৃতি ও বিখ্যাত পাথরী মুক্তা। ইংরেজীতে ইহাকে এগেট (Agate) ও কাউলিন বলে। ফার্সী ও আরবীতে আকীক বলে। ইয়ামানী ও সংস্কৃতে হলীক বলে। উহা লাল, সাদা, দুধ, হলুদ ঈষৎ লাল রংয়ের চকচকে পাথর। পৃথিবীতে সর্বোৎকৃষ্ট পাথর হিসেবে ইয়ামানী পাথর স্বীকৃত। উহার রং কলিজার ন্যায় হয়।

প্রাপ্তিস্থান

আকীক পাথর কংকরময় ভূমিতে পাওয়া যায়। সমুদ্রের তলদেশেও পাওয়া যায়। আকীক পাথর কংকরময় মরুভূমির সবুজ মাটির এক পাতলা স্তর থেকে সংগ্রহ করা হয়। ইহা পরিমাণে যবের বীজের মত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আকীক পাথরের খনি পাওয়া যায়। তম্মধ্যে জার্মান, আরব, ব্রাজিল, উরুগুয়ে, ইয়ামন, আমেরিকা, ভারতের গুজরা, হায়দারবাদ ও দক্ষিণাত্য উল্লেখযোগ্য।

আকীরেক বৈশিষ্ট্য

আকীক পাথর হার্টকে (হৃদপিণ্ডকে) শক্তিশালী করে। আকীক পাথর ব্যবহার করলে উহা থেকে উত্তাপ সঞ্চয় করে শরীরে সরবরাহ করে। ফলে দেহের তাপমাত্রার সমতা রক্ষা পায়। ইহা ব্যবহারের খিটখিটে স্বভাব বা মেজাজ বিরক্তি দূর হয়। হৃদপিণ্ডির কম্পন ঠিক রাখে এবং মনের অস্থিরতা ও চাঞ্চল্যতাকে দূর করে।
সূ-প্রাচীন বিশ্ববিখ্যাত দার্শনিক প্লেটো বলেন, সাদা আকীক পরলে মানুষের মান-মর্যাদা উত্তেরোত্তর বৃদ্ধি পায়। আর হলুদ আকীক ব্যবহারে মনের বাসনা বা ইচ্ছা পূরণ হয়।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে আকীক পাথরের ব্যবহার

আকীক পাথর ব্যবহারে মেজাজ বা স্বভাব ঠাণ্ডা ও শুষ্ক থাকে। উহা হতে প্রস্তুতকৃত সুরমা ব্যবহার করলে চোখের জ্যেতি বাড়ে এবং চোখের রোগ ব্যাধিতে খুব উপকার পাওয়া যায়। উহার পাউডার করে দাঁত পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার করলে দাঁতের পাইয়োবিয়া রোগ ভালো হয়। দাঁতের রক্ত পড়া বন্ধ করে। দাঁত উজ্জ্বল ও শক্ত হয়। উহার কুশতা হৃদপিণেডর কম্পনজনিত সমস্যায় উপকারী। মস্তিষ্কের পক্ষাঘাতে ইহার ব্যবহার খুবই উপকারী। পুরাতন জখম বা ক্ষতের চিহ্ন দূরীকণে এর কুশতার মল ব্যবহারের উপকার পাওয়া যায়। শরীরের অন্যান্য রোগেও উহা উপকারী।
সংগ্রহঃ বিশ্বনবী'র (সাঃ) চিকিৎসা বিধান, ডাঃ আলমগীর মতি

No comments

Powered by Blogger.