Banners

স্বামী স্ত্রী মিলনের নিষিদ্ধ সময়

যে সব অবস্থায় ও সময়ে সহবাস নিষিদ্ধ

১. মাগরিবের ওয়াক্তে
২. ফজরের ওয়াক্তে
৩. প্রতি চাঁদের আমাবশ্যায় ও পূর্ণিমায়
৪. চাঁদের ১ম, ১৫তম এবং শেষ তারিখে
৫. দূর, দেশের যাওয়ার নিয়ত করলেত, রাত্রে সহবাস নিষেধ
৬. মসজিদে সহবাস নিষেধ
৭. প্রকাশ্য স্থানে সহবাস নিষেধ
৮. ফলবান গাছের নীচে সহবাস নিষেধ
৯. সহবাসের মর্মার্থ বুঝে এমন কাউকে পার্শ্বে রেখে সহবাস নিষেধ
১০. কেবলা দিকে মাথা কিংবা পা রেখে সহবাস নিষেধ
১১. পায়খানার রাস্তা সহবাস নিষেধ
১২. হায়েজ-নেফাসের সময় সহবাস নিষেধ
১৩. হায়েজ-নেফাসের রক্ত বন্ধ হলে, গোসর করে নামাজের তাহরীমা বাঁধার যতক্ষণ লাগে, ততক্ষণের মধ্যে সহবাস নিষেধ
১৪. স্বপ্ন দোষের পর বিনা গোসলে সহবাস নিষেধ
১৫. পেট পরিপূর্ণ করে খাদ্য গ্রণ তিন ঘন্টার মধ্যে সহবাস নিষেধ
১৬. খুব ক্ষুধার্ত অবস্থায় সহবাস নিষেধ
১৭. দাঁড়িয়ে সহবাস নিষেধ
১৮. উলঙ্গ হয়ে সহবাস নিষেধ
১৯. গুপ্ত স্থানের দিকে দৃষ্টি দিয়ে সহবাস নিষেধ
২০. খুব বৃদ্ধ অবস্থায় সহবাস নিষেধ
২১. দুর্বল শরীরে সহবাস নিষেধ
২২. কুষ্ঠ, যক্ষ্মা ইত্যাদি জটিল রোগে সহবাস নিষেধ
২৩. নাবালেগ অবস্থায় সহবাস নিষেধ
২৪. মনে খুব রাগ বিংবা শোক থাকলে সহবাস নিষেধ
২৫. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য থাকলেসহবাস নিষেধ
২৬. ঝড়, তুফান, বজ্র পড়ার সময় সহবাস নিষেধ
২৭. সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণের সময় সহবা করা নিষিদ্ধ।

পরিত্যাগের অপকারিতা

স্বাম-স্ত্রীর সহবাস পূণ্যের কাজ। এতে যেমন স্বামীর অধিকার রয়েছে, ঠিক তেমনি স্ত্রীরও অধিকার রয়েছে। উভয়ের মধ্যে এই কামনা-বাসনা, স্পৃহা বিদ্যামান থাকে। ভাব-ভঙ্গী দ্বারা কামস্পৃহায় জ্ঞাত হলে স্বামীর জন্য অবশ্যই সহবাস করা উচিত। বিনা কারণে সহবাস পরিপূর্ণভাবে পরিত্যাগ করা ফেক্বাহ শাস্ত্রবিগণের মতে উচিত নয়; বরং কখনো অত্যাবশ্যকীয় বলেছেন। (আল বাকীরাঃ ১২৭১ পৃষ্ঠায়)

মাত্রাতিরিক্ত রতিক্রিয়া স্বাস্থ্রের জন্য ক্ষতিকর

 বুস্তান গ্রন্থে ফকীহ আবু লাইস (রহঃ) লিখেছেন যে, হযরত আলী (রাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি এ আশা করে যে, তার স্বাস্থ্য সুন্দর ও সুদর্শন ও দীর্ঘকাল অটুট থাকুক তাহলে সে যেন সকালে ও রাত্রে আহার করে, ঋণ থেকে বেঁচে থাকে, নগ্নপায়ে না হাঁটে এবং স্ত্রী সাথে কম সহবাস করে।” (তিব্বে নব্বী)
পরনারী দর্শনার্থে কামভাব জাগ্রত হলে স্ত্রী সাথে সহবাস করে নেয়াই উত্তম।
ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) লিখেছেন, হযরত জুনাইদ বাগদাদী (রহঃ) বলতেন, আমার কাছে সহবাসের প্রয়োজনীয়তা ততটুকুই, যতটুকু প্রয়োজনীয়তা খাদ্যের।
একটি হাদীস পাকো এসেছে, যার মর্মকথা হলো, কখনও কোন পরনারীর প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ হলে, যদি সে মহিলার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যাও। তখন ঘরে গিয়ে নিজ স্ত্রীর সাথে সহবাস করে নেও; কারণ সহবাসের অন্তরের কুমন্ত্রণা দূর করে দেয়।

যেসব রাত্রে সহবাস করা উচিত নয়

ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) লিখেছেন, তিনটি রাত্রে স্ত্রী সহবাস করা মাকরূহ। যথা- (১) মাসের প্রথম রাত  (২) মাসের শেষ রাত (৩) মাসের মাঝ রাত (পনের তারিখ)
সহবাসের নিষিদ্ধ সময়, মাত্রাতিরিক্ত সহবাস, যে রাতে সহবাস অনুচিত, স্বাস্থ্য, উল্লেখিত তিন রাত্রেই শয়তানের উপদ্রব্য বেড়ে যাওয়ার বর্ণনা রয়েছে। উক্ত তিন রাত্রে স্ত্রী মিলন মাকরূহ হওয়ার ব্যাপারে হযরত আলী (রাঃ), হযরত হুরাইরা (রাঃ) রেওয়ায়েত রয়েছে-
“রিফাহুল মুসলিমীন” নামক কিতাবে শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহঃ) উল্লেখিত তিন রাত্রি ছাড়াও সকালে ছফরে বের হওয়ার মনস্তকারী ব্যাক্তির পক্ষে তার পূর্ব রাত্রে নিষিদ্ধ করেছেন। কারণ ঐসব রাত্রে সহবাস করলে সন্তান বিকলাঙ্গ হয়ে থাকে।
“তিব্বে নব্বী” নামক কিতাবে আবু নঊমের “কিতাবূল তিব্ব”-এর বরাত দিয়ে উল্লেখ আছে, রাসূলে পাক (সাঃ) হযরত আলী (রাঃ)-কে বলেছেন, “হে আলী, মাসের মধ্য রাত্রি স্ত্রী সহবাস করবে না। কারণ ঐ তারিখে শয়তান বিশেষভাবে উপস্থিত থাকে। শামায়েলে তিরমিজীর পাদটীকায় উল্লেখ আছে, বিভিন্ন আউলিয়াযে কেরামের মতে ঠিক নামাজের সময় সহবাসে লিপ্ত হলে তা দ্বারা গর্ভসঞ্চার হলো সন্তান অবাধ্য হয়ে থাকে।
সংগ্রহঃ বিশ্বনবী'র (সাঃ) চিকিৎসা বিধান, ডাঃ আলমগীর মতি

No comments

Powered by Blogger.