Banners

ঈদে মিলাদু্ন্নবী (সাঃ)

ঈদে মিলাদু্ন্নবী (সাঃ) সফল হোক

নবী, slider, নবীজির শান, ঈদে মিলাদুন্নবী, মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব, নবীজির আগমন

সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

১২ রবিউল আউয়াল আমাদের নিকট  ঈদে মিলাদুন্নবী দিন হলেও কিছু কিছু শিয়া সম্প্রদায়ের নিকট ১৭ রবিউল আউয়ালে ইদে মিলাদুন্নবী পালন করে থাকে। ‍যা পালন করে আচছে মানুষ তাবেঈনদের যুগ থেকে। ঐ সময়কালে কিছু কিছু তাবেঈনগণ নবীজির জন্মদিন উপলক্ষে তারা দলবদ্ধ হয়ে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর সম্মানে কবিতা আবৃতি করতো ও নবীর শানে গান গাইতো। বিশ্ব মুসলিম বাসীর অধিকাংশ শাখা হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জন্মদিন পালন সম্মতি রয়েছে। কিন্তু ওয়াহাবী/সালাফি এবং দেওবন্দী তরীকা সহ কিছু কিছু শাখা রয়েছে যারা নবীজির জন্মউৎসব পালন করা অস্বীকার করে এবং তাদের মতে এটা করা বিদাত।

১২ রবিউল আওয়াল দিনটি প্রায় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। যা ১৫৮৮ সালে অটোমান শাসকেরা দিনটি ছুটি ঘোষণা করেন। বতমান সময়ে ওয়াহবী/সালাফি পন্থী সৌদিআরব এবং কাতার ব্যতীত সকল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এদিন ছুটি ঘোষণা করে।

আমি ব্যক্তিগত যা বুঝি, আল্লাহ আসমান, জমিন, সকল সৃষ্টিকুল আমাদের নবী করীম (সাঃ)-এর উসিলায় সৃষ্টি করেছেন। সেই নবীর ‍উপর নাজিল হয়ে আমাদের পবিত্র আল-কোরান সেই রাতটি’কে আমরা ‘লায়লাতুল কদরের’ রাত বলে জানি এবং ইবাদত করি। যে রাতে ইবাদত করা হাজার রাতের চেয়েও উত্তম। যা আমরা সকলেই জানি। আমার কথা এখানে, যেই নবীর উপর আল-কোরআন নাজিল হলে যদি ঐ রাতটি এতো সম্মানিত হতে পারে তাহলে সেই নবী যে দিনে এই পৃথীবিতে আগমণ করেছেন তাহলে সেই দিনটি আমাদের জন্য কতটা সম্মানিত হতে পারে? যা আপনার শান্ত মনে গভীর ভাবে চিন্তা করেন। তাহলে নিশ্চিই অনুভব করতে পারবেন।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত খুবই জমজমাক ভাবে পালন করে থাকে। তেমনি এমন ও কিছু সম্প্রদায় রয়েছে যা বেদাত বলে আমাদের সমাজে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে আচছে। তাদের বেড়াজাল থেকে মুসলিম মিল্লাত সচেতন করার উদ্দেশ্য নিয়েই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।

ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ)-এর তাৎপর্য

হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে ১২ তারিখ সোমবার, সূযোদ্বয়ের ঠিক পূর্বমূহুতেম, সুবেহে সাদিকের সময়ে এই ধরাধামে আগমন করেন। তার ৬৩ বছর অতিবাহিত করার পর ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে ১২ই রবিউল আউওয়াল মাসের তিনি পরলোক গমন করে। এই দিনটি মুসলিম সমাজে ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ (সাঃ) নামে আমাদের কাছে পরিচিত। এই দিনটি বিশ্ববাসী খুবই আনন্দের সাথে উর্দযাপন করে থাকে।

ঈদ শব্দের আভিধানিক অর্থ হল খুশী হওয়া, ফিরে আসা, আনন্দ উৎযাপন করা ইত্যাদি। আর মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে আমরা নবীজীর আগমনকে বুঝায়। সহজ ভাবে বুঝতে গেলে ঈদ, মিলাদ আর নবী ০৩টি শব্দ যোগে দিবসটির নামকরণ করা হয়েছে। ঈদ অর্থ- আনন্দোৎসব, মিলাদ অর্থ- জন্মদিন, আর নবী অর্থ নবী বা ঐশী বার্তাবাহক। বিধায় ঈদে মিলাদুন্নবীর অর্থ দাঁড়ায় নবীর আগমণ উপলক্ষে আনন্দোৎসব।

ঈদে মিলাদুন্নবী এর মাস আসলেই মুসলিম সমাজে এক সুখের অনুভব আছে যেন বসন্তের হাওয়া গায়ে লেগে যায় নবী প্রেমিকদের দেহে। এ মাসে ওয়াজ মাহফিল, মিলাদ মাহফিল আয়োজনের যেন ধুম পড়ে যায়।

আল্লাহ পাক এরশাদ করেছে, আমি আপনাকে বিশ্বাসীদের জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছি । (সূরা আল-আম্বিয়া: ১০৭) এরশাদ হয়েছে, আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের জীবন বিধানকে পরিপূর্ণ করে দিলাম, তোমাদের ওপর আমার নেয়ামতরাজিকে পূর্ণতা দিলাম আর ইসলামকে তোমাদের একমাত্র জীবন বিধান হিসেবে মনোনীত করলাম। (সুরা আল-মায়িদা: ৩ এর আয়তাংশ)

তবে শুধু মিলাদ মাহফিল, ওয়াজ শুনে কোন লাভ হবে না যদি না মহান আল্লাহ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শকে জীবনে ধারণ করার, যে নির্দেশ আমাদেরকে দিয়েছেন সে অনুযায়ী আমরা আমাদের জীবন ধারণ করতে পারি। 

আমাদের রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তার দয়া, মায়া, প্রেম-ভালবাসা, চারিত্রিক শ্রেষ্ঠত্বের মাধ্যমেই একটি শ্রেষ্ঠ ও সুসংগঠিত জাতি গঠন করতে সমথ হন। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ ধারণ করেই সাহাবায়ে কেরাম (রা.) যুগের সর্বোত্তম মানুষ হতে পেরেছিলেন। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: সর্বোত্তম মানুষ হলো আমার যুগের মানুষ, অতঃপর তাদের পরবর্তী যুগের মানুষ, তারপর তাদের পরবর্তী যুগের মানুষ। (সহীহ বোখারি) ।

এছাড়া রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন নিশ্চয়ই আমি সর্বোত্তম চরিত্রের পূর্ণাঙ্গতা সাধনের জন্য প্রেরিত হয়েছি। (ইবনে মাজা)।

এমনকি শুধু রাসূল (সাঃ)-এর উম্মতগণ রাসূল (সাঃ) এর আর্দশ মানবে এমন কিন্তু না রাসূলে আর্দশ সাহায্য সহযোগিতার জন্য রোজে আজলে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিন সমন্ত নবী-রাসূল, অঙ্গীকার নিয়েছিলেন এ সম্পর্কে সূরা আল-ইমরান এর ৮১ ও ৮২ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, হে প্রিয় রাসূল! আপনি স্মরণ করুন ঐ দিনের ঘটনা” আর আল্লাহ (রোজে আজলের সময়ের) যখন আল্লাহ নবীগণের নিকট থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করলেন যে, আমি যা কিছু তোমাদের দান করেছি কিতাব ও জ্ঞান এবং অতঃপর তেমাদের নিকট কোন রাসূ আসেন তোমাদের কিতাবকে সত্য বলে দেয়ার জন্য, তখন সে রাসূলের প্রতি ঈমান আনবে এবং সাহায্য করবে। তিনি বললেন, তোমরা কি অঙ্গীকার করছো এবং এই শর্তে আমার ওয়াদা গ্রহণ করে নিয়েছে? তারা বললো, ‘আমরা অঙ্গীকার করেছি’। তিনি বললেন- তাহলে এবার স্বাক্ষী থাকো। আর আমি ও তোমাদের সাথে স্বাক্ষী রইলাম। অতঃপর যে লোক এই ওয়াদা থেকে ফিরে দাঁড়াবে, সেই হবে নাফরমান।

এবার বুঝতে চেষ্টা করুন এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহর সমস্ত নবীগণ থেকে আল্লাহ তায়ালা অঙ্গীকার আদায় করেছিলেন রাসূল (সাঃ) এর প্রতি ইমান আনা এবং সাহায্য সহযোগীতার ব্যপার। সমস্ত নবীগণ সেদিন উক্ত মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন। এর দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, মূলত ঐ মাহফিলটি ছিল পৃথিবীতে যে আগমন করবেন সে জন্য আল্লাহ পাক তাই সকল নবীদের নিকট থেকে আগে থেকেই মাহফিল করে সাহায্য করার জন্য অঙ্গীকার করিয়ে নিয়েছে। তাহলে কি এটা নবীজীর আগমনী বা মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- এর মাহফিল ছিল না?????????

ঐ রোজে আজলের মাহফিলে সময় সমস্ত নবীগণ অবস্থায় ছিলেন এমকি আল্লাহ পাক নিজেই সেখানে উপস্থিথ থেকে ঈদে মিলাদু্ন্নবী বা নবীজির আগমনের ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। এখন চিন্তা করুন এ কোন নবী কেমন নবী যে আল্লাহ নিজে সকল নবীদের হাজির করিয়ে তাকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। সেখানে আজ আমাদের সমাজে কিছু কিছু মানুষ বলেন নবীজি আমাদের বড় ভাইয়ের মতো (নাউজুবিল্লাহ)। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন প্রিয় আল্লাহর রাসূল, তাঁর সাথে মানুষের তুলনা করা তো দূরের কথা, অন্য কোনো নবী-রাসূল ও তুলনা করা হয়না। যার কারণে আল্লাহ তায়ালা সমস্ত নবীদের নিকট দুটি হুশিয়ারী বাণী প্রদান করেছেন। যথা- (১) আমার বন্ধুর উপর ঈমান আনতে হবে। (২) আমার বন্ধুকে সর্বোত্তমভাবে সাহায্য সহযোগিতা করতে হবে।

প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা আল্লাহ যদি তার রাসূল (সাঃ) কে নিয়ে সমস্ত নবীদের নিয়ে মাহফিলে মিলাদুন্নবীর আলোচনা করতে পারে তাহলে আমরা সবাই একত্রে নবীজির শান মান গুণাবলী নিয়ে আলোচনা করলে কি আমাদের পাপ বা বেদাত হবে এটা আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন রইল।

বাস্তব জীবনে লক্ষ্য করুন যে আমরা যখন কোন ভাল কিছু অর্জন যেমন পরিক্ষায় খুব ভাল ফলাফল অর্জন করেছি তখন তোম আমরা খুশি হই তার জন্য পরিবারের সবাই আনন্দ উৎসব করি। কিম্বা একটি শিশু পৃথীবিতে আগমন করলে কত না আনন্দ উৎসব করি যা একেপ্রকার স্বাভাবিক কাজ। কিন্তু আপনি জানের আল্লাহর নির্দেশ ও তাই।

যেমন- পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন-
অর্থাৎ- হে মানবকুল তোমাদের নিকট তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং অন্তর সমূহের বিশুদ্ধতা, হেদায়াত এবং রহমত ঈমানদারদের জন্য। হে হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনি বলুন! আল্লাহর দয়া ও মেহেরবাণীতে। সুতরাং এরই প্রতি তাদের আনন্দ বা সন্তুষ্ট থাকা ‍উচিৎ। এটিই উত্তম যে সমুদয় থেকে যা সঞ্চয় করছ।
 (সূরা ইউনুছ, আয়াত নং- ৫৭-৫৮)।

এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম জালাল উদ্দিন সুয়ূতী (রহঃ) তাঁর তাফসীর গ্রন্থ আদ দুররুল মুনছুর এ উল্লেখ করেন- অর্থাৎ- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) এ আয়াতের তাফসীরে বলেন এখানে আল্লাহর অনুগ্রহ (ফাদ্বলুল্লাহ) দ্বারা ইলমে দ্বীন বুঝানো হয়েছে আর (রহমত) দ্বারা সরকারে দু’আলম নূরে মোজাচ্ছম আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বুঝানো হয়েছে। যেমন- আল্লাহ তায়ালা বলেন, (ওয়ামা আরসালনাকা ইল্লা রাহমাতালি্লল আলামীন) অর্থাৎ হে হাবীব আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত করেই প্রেরণ করেছি। সূত্রঃ সূরা আম্বিয়া আয়াত নং- ১০৭, তাফসীরে রুহুল মায়ানী, তাফসীরে কবির ও ইমাম সূয়ূতী (রহঃ) কৃত তাফসীরই আদ দুররুল মুনছুর, ৪র্থ খন্ড- ৩৬ পৃষ্ঠায় ও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

কি মজার বিষয় যে সামান্য জাগতিক নিয়ামত পেয়ে যে আনন্দ ও উৎসব করি তাও আবার আমার সরাসরি আমাদের মহাগ্রন্থ পবিত্র আল কোরান মাজীদে উদাহরণ সহ দেখতে পাই।

আল্লামা শাহাবুদ্দীন ইবনে হাজর হায়তামী (রহঃ) বলেন, খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগেও ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পালন করার নীতি প্রচলন ছিল। যেমন-
অর্থাৎ- হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) বলেছেন- “যে ব্যক্তি ‘মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ করার জন্য এক দিরহাম অর্থ খরচ করবে, সে ব্যক্তি বেহেশ্তে আমার সাথী হবে”।

হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) বলেছেন- “যে ব্যক্তি ‘মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাজীম ও সম্মান করলো, সে যেন ইসলামকেই জীবিত রাখলো”।
হযরত ওসমান (রাঃ) বলেছেন- “যে ব্যক্তি ‘মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ করার জন্য এক দিরহাম অর্থ খরচ করলো, সে যেন বদর ও হোনাইনের যুদ্ধে শরীক হলো”।

হযরত আলী (রাঃ) বলেছেন- “যে ব্যক্তি ‘মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সম্মান করবে এবং মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ করার উদ্যোক্তা হবে, সে দুনিয়া থেকে (তওবার মাধ্যমে) ঈমানের সাথে বিদায় হবে এবং বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে”।
সূত্রঃ আন নে’মাতুল কোবরা আলাল ফি মাওলিদি সাইয়্যেদ ওলদে আদম ৭-৮ পৃষ্ঠা।

প্রিয় মুসিলম ভাই ও বোনেরা এত দলিল থাকার পরও নেক আজকের মুসলিম সমাজ রাসূল (সাঃ)-এর সম্মার্থে কোন আনন্দ উৎসব করা বেদাত বলে ঘোষণা দেন। আপনারাই তো ক্লাস রুমে শিক্ষক প্রবেশ করলে বসা থেকে দাড়িয় সম্মান প্রদর্শন করেছেন। তখন তো কেউ কোন দিন বেদাত বলে উল্লেখ্য করেছেন। সে সকল ভাই বোনেরা খেলা দেখতে ভাল বাসেন খেলার মধ্যে গোল, আউট কিন্তা ছক্কা মারলে সবাই দাড়িয়ে আনন্দ উৎসব করে তখন তো আপনারা এটাকে বেদাত বলেন না। তাহলে নবী (সাঃ)-এর শান মানে কোন আনন্দ মিছিল, গজল, মিলাদ পড়া, দাড়িয়ে কিয়াম করা ইত্যাদি দেখলে কেন আপনাদের বেদাত বেদাত বলে সহজ সরল মুসলিম জাতিকে বিভ্রা্ন্তির মধ্যে ফেলে দেন।

আমার মতে, কোন দলিল থাক আর না থাক যে নবীর উসিলায় আমরা সবকিছু পেয়েছি, পেয়েছি বছরে ০২ টি ঈদ তাহলে সেই নবীর আগমণের ‘ঈদে মিলাদুনব্বী’ কতটা মূল্যবান হতে পারে নবীজির আশেকের নিকট। আশা করি যারা নবীজিকে মন থেকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসের তাদের আর বুঝতে অসুবিধা নেই। যারা ঈদে মিলাদুন্নবী উপলদ্ধি করতে পারেন তাদের জন্য রইল 
আমার পক্ষ থেকে ‘ঈদের মিলাদুন্নবী’ শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক।

No comments

Powered by Blogger.